একাধারে তিনি মডেল, নৃত্যশিল্পী, অভিনেত্রী ও শিক্ষক। একটা সময় টেলিভিশনে নিয়মিত নাটক করতেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতারের শিল্পীও ছিলেন। পেয়েছিলেন জনপ্রিয়তার স্বাদ। হাতে এসেছে জাতীয় পুরস্কারের সম্মান। এখন কাজের পরিধি বাড়লেও খানিকটা বেছে বেছে কাজে হাত দিচ্ছেন। অনেকদিন পর লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনে ফিরেছেন চাঁদনী।
কথায় কথায় জানালেন, অনেক দিন ধরেই ক্যামেরার বাইরে ছিলেন। অভিনয়ের ইচ্ছা বরাবরই, ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। গত সপ্তাহে সেটি মিলে গেছে। চাঁদনী বলেন, ‘‘আমার পছন্দের গল্পকার জিনাত হাকিমের গল্পে, অভিনেতা ও নির্মাতা আজিজুল হাকিমের পরিচালনায় ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি। নাম ‘আমি তুমি ও সে’। আমরা ঢাকা ও পূর্বাচলের বিভিন্ন জায়গায় শুটিং করেছি। আমার সঙ্গে আরও আছেন দীপা খন্দকার, সমাপ্তি মাশুক। খুব মিষ্টি একটা গল্প। একক নাটকটি ঈদে টিভিতে দেখা যাবে।’’
অভিনয়ের সঙ্গে আরও কয়েকটি পেশায় যুক্ত হলেও বছর দুয়েক আগে ঢাকার সাঁতারকূলের গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষকতা করছেন চাঁদনী। দুই বছর হলো এই পেশায় জড়িয়েছেন। এখন সবকিছুর চেয়ে শিক্ষকতাই তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই জানালেন, অন্য স্কুলের মতো এই স্কুল না। সব কিছু নিয়মের মধ্যে দিয়ে চলতে হয়। কোনো প্রকার হাফ টাইম নেই। তাই প্রতিদিন স্কুল করার জন্য অভিনয়ে নিয়মিত হতে পারছেন না। ছুটির দিনগুলো ছাড়া অভিনয়ের শিডিউল দিতে পারেন না নির্মাতাদের। তবে শিক্ষকতা পেশা দারুণ উপভোগ করছেন।
চাঁদনীর কথায়, ‘বাচ্চাদের সঙ্গে থাকতে খুব ভালো লাগে। আমার স্কুলটি আন্তর্জাতিকমানের। আমি ফাইভ-বির ক্লাস টিচার। পাশাপাশি নৃত্যেরও শিক্ষক। সবকিছু মিলে দারুণ উপভোগ করছি। চাকরি না করলে অনেক কিছুই অজানা থেকে যেত। এই যে শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন, বাচ্চাদের দায়িত্ব, কলিগদের ভালোবাসা–এগুলো আমাকে নতুন কিছু শিখিয়েছে। কলিগরা যে এক সময় পরিবারের অংশ হয়ে যায়, সেটি শিক্ষকতা করতে এসে বুঝেছি।’ চাঁদনী সময় পেলে ওটিটির কনটেন্ট দেখেন। ভালোও লাগে তাঁর। এই প্ল্যাটফর্মে এখনও কাজ করেননি তিনি। সময় ও গল্প মিলে গেলে অভিনয় করবেন।
চাঁদনীর কথায়, ‘আমি অভিনয় করতে চাই। তবে স্কুলটা এখন প্রথম প্রাধান্যের জায়গা। শুক্র ও শনিবার ছুটি থাকে। এই দুই দিনের শিডিউলে কোনো নির্মাতা যদি আমাকে নিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে অভিনয় করতে রাজি। তবে প্রথম কাজ করার আগে একবার যাচাই-বাছাই তো করা উচিত।’
অভিনয়ের পাশাপাশি নৃত্য নিয়েও ব্যস্ত তিনি। সম্প্রতি ঢাকার বাইরে থেকে শো করে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘নাচ তো আমার সব। সেবার আগে এটার কথা চিন্তা করি। শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে সম্প্রতি নরসিংদীতে শো করে এলাম।
এছাড়া নিজের মতো করে কাজ করে যাচ্ছি। সময়-সুযোগে ঢাকার ভেতর শো’তে অংশগ্রহণ করি। এভাবেই চলছে।’ শুধু নাটক নয়, বাংলাদেশ টেলিভিশনে অতিথি হয়েছেন ‘ইফতারের রসুইঘর’-এ। রোজার বিশেষ এই অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন আরেক অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা আহমেদ। চাঁদনী বলেন, ‘আমি একটি পর্বে অতিথি হয়েছি। দারুণ লেগেছে, দর্শকের জন্য ইফতারের কয়েকটি রেসিপিও দেখিয়েছি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন টক শ ক ষকত ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাক্তন প্রেমিক মিঠুনের জন্মদিনে যে বার্তা দিলেন মমতা
ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। ভারতীয় বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি যেমন শাসন করেছেন, তেমনি বলিউডেও নিজের মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। অভিনয় গুণে মিঠুন কুড়িয়েছেন যশ-খ্যাতি।
১৯৫০ সালের ১৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন মিঠুন। আজ পঁচাত্তর পূর্ণ করে ছিয়াত্তর বছর বয়সে পা দিতে যাচ্ছেন। বিশেষ দিনে মিঠুনকে নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে কথা বলেছেন তার প্রাক্তন প্রেমিকা-অভিনেত্রী মমতা শঙ্কর।
জন্মদিন উপলক্ষে মিঠুনের উদ্দেশ্যে মমতা শঙ্কর বলেন, “প্রিয় মিঠুন, সুস্থ থাক। সবাইকে নিয়ে ভালো থাক। খুশিতে ও আনন্দে থাক। আরো ভালো ভালো কাজ আমাদের উপহার দে। সাই বাবার কাছে তোর জন্য সারাক্ষণই প্রার্থনা করি।”
আরো পড়ুন:
অক্ষয়ের সিনেমার আয় ৩৩২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে
আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান
মিঠুনের সঙ্গে পরিচয়ের কথা মনে করে মমতা শঙ্কর বলেন, “মিঠুনের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা মৃণালদার বাড়িতে। তখন ‘মৃগয়া’ নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। আমার আর মিঠুনের জীবনের প্রথম সিনেমা এটি। কত স্মৃতি। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব।”
শুটিং সেটে এবং সেটের বাইরে মমতার সঙ্গে খুবই রসিকতায় মেতে উঠতেন মিঠুন। স্মৃতিচারণ করে মমতা শঙ্কর বলেন, “বাবা, মিঠুন, দারুণ বিচ্ছু। সারাক্ষণ ওর রসিকতা। সবার পিছনে লাগত। আমিও ছাড় পেতাম না। ২৪ ঘণ্টা ওর মাথার মধ্যে দুষ্টুবুদ্ধি ঘুরত। আমাকে খুব লেগ পুল করত। আর আমি রেগে যেতাম। সে কী বলব!”
২০২৬ সালে ‘মৃগয়া’ সিনেমার ৫০ বছর পূর্তি হবে। সেই সূত্রে মিঠুন-মমতারও অভিনয় ক্যারিয়ার ৫০ বছরে পা দেবে। এই বিষয়টা মমতার মনকে বেশ প্রফুল্ল করে তুলেছে!
ভারতীয় বাংলা সিনেমার গুণী অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্করের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বিয়ের দিন-তারিখও চূড়ান্ত হয়েছিল। ছাপানো হয়েছিল বিয়ের কার্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাতপাকে বাঁধা পড়েননি এই যুগল। মিঠুনের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর মমতা চন্দ্রোদয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সবকিছু ভুলে এখনো এ জুটির বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে।
দেব প্রযোজিত ‘প্রজাপতি’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন মিঠুন-মমতা। এ অভিনেত্রী বলেন, “মিঠুন আমার বন্ধু, সারাজীবন থাকবে। হ্যাপি বার্থ ডে মিঠুন। সব্বাইকে নিয়ে তুই খুব ভালো থাকিস।”
ঢাকা/শান্ত