নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের মিছিল ছত্রভঙ্গ করার সময় রাজধানীর পল্টন থেকে আটক একজনকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ওই ব্যক্তির নাম আরমান আলী (৪০)। তিনি রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি কাঁচামালের আড়তের কর্মচারী বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা কার্যালয় গিয়ে আরমানকে ছাড়িয়ে আনেন উপদেষ্টা আসিফ। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আরমানকে সেনাবাহিনী সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে ডিবি পুলিশের কাছে দিয়েছিল। এ খবর পেয়ে আরমানকে ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়িয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।

ঢাকা মেডিকেলে আরমান আলী বলেন, তিনি কারওয়ান বাজারে একটি আড়তে কাজ করেন। তার বাসা ফকিরেরপুল পানির ট্যাংকের কাছে। ঘটনার সময় তিনি বাসায় যাচ্ছিলেন। এসময় হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা তাকে মারধর করেন। তখন সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে আটক করে।

এদিকে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া পল্টনের ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হিযবুত তাহরীরের এক সদস্যকে পুলিশ পেটাচ্ছে। তিনিও হিযবুত তাহরীরের ওই সদস্যের ওপর চড়াও হয়েছেন বলে দেখা যায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক উপদ ষ ট উপদ ষ ট আরম ন

এছাড়াও পড়ুন:

এআইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালাচ্ছে হ্যাকাররা

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে ‘গোস্ট কল’ ও ‘গোস্ট হায়ার’ প্রচারণার মাধ্যমে সাইবার হামলা চালাচ্ছে ব্লু–নরফ নামের একদল হ্যাকার। ল্যাজারাস হ্যাকার দলের শাখা হিসেবে পরিচিত হ্যাকারদের দলটি ভারত, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ওয়েব৩ ও ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে এ ধরনের সাইবার হামলা চালাচ্ছে। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোস্ট কল ও গোস্ট হায়ার প্রচারণা মূলত ম্যাকওএস ও উইন্ডোজ ব্যবহারকারী ব্লকচেইন ডেভেলপার ও প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে চালানো হয়। এ ধরনের সাইবার হামলায় হ্যাকাররা টেলিগ্রাম প্ল্যাটফর্মে নিজেদের বিনিয়োগকারী পরিচয়ে ভুয়া সাইটে অনলাইন বৈঠকের আমন্ত্রণ জানায়। বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য কেউ ‘আপডেট’ অপশনে ক্লিক করলেই কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে। এরপর হ্যাকাররা দূর থেকেই তথ্য চুরির পাশাপাশি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে।

ক্যাসপারস্কি জিআরইএটির নিরাপত্তা গবেষক সোজুন রিউ জানান, আক্রমণকারীরা আগের ভুক্তভোগীদের ভিডিও ভুয়া অনলাইন বৈঠকে চালিয়ে দেখায়, যেন ভিডিও কলটি বাস্তব মনে হয়। এভাবেই তারা বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিভ্রান্ত করে। এই প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত তথ্য শুধু ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধেই নয়, পরবর্তী সময়ে সাপ্লাই চেইন আক্রমণেও ব্যবহার করা হয়। আক্রমণকারীরা এভাবে বিশ্বাসের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আরও বেশি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবহারকারীর সিস্টেমে প্রবেশাধিকার পাওয়ার চেষ্টা করে।

এ ধরনের আক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন সহযোগীদের তথ্য যাচাই, অপরিচিত বা যাচাইহীন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি সব সময় নিরাপদ যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন ক্যাসপারস্কির গবেষকেরা। একই সঙ্গে সার্বক্ষণিক সুরক্ষা, ইডিআর ও এক্সডিআর সক্ষমতার জন্য ক্যাসপারস্কি নেক্সট ব্যবহারের সুপারিশ করেছেন তাঁরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ