রাশিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। এই হামলায় সবচেয়ে ভয়াবহ আঘাত হানা হয়েছে ডোনেৎস্ক অঞ্চলে, যেখানে অন্তত ১১ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে ছয় শিশু রয়েছে। সূত্র বিবিসি।  

শনিবার ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানান, ডোনেৎস্কের ডোব্রোপিলিয়া শহরে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আটটি আবাসিক ভবন ও একটি শপিং সেন্টারে আঘাত হানে, যাতে ১১ জন নিহত হয়।  

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে প্রথম হামলার পর উদ্ধারকর্মীদের লক্ষ্য করে দ্বিতীয় হামলা চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের হামলা প্রমাণ করে যে রাশিয়ার লক্ষ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। 

এছাড়া, খারকিভ অঞ্চলের বোহোদুখিভ শহরে ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছে। ওডেসায় হামলায় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা গত তিন সপ্তাহে অঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ওপর সপ্তম হামলা বলে জানিয়েছে ডিটিইকে কোম্পানি।  

এদিকে, ইউক্রেনও রাশিয়ায় পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, তারা ইউক্রেনের ৩১টি ড্রোন প্রতিহত করেছে।  

যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি আপাতত বন্ধ রেখেছে, যার ফলে রুশ হামলা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।  

ট্রাম্প শুক্রবার জানান, তিনি রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় ইউক্রেনের চেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন। তবে, তিনি রাশিয়ার ওপর বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও বিবেচনা করছেন।  

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, যখন বর্বরদের তোষামোদ করা হয়, তখনই এমন ঘটনা ঘটে।

আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সৌদি আরবে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন, যেখানে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হবে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া রুশ আগ্রাসনের পর থেকে রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২০% ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউক র ন র ত হয় ছ

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ