চীন-জাপান যুদ্ধ শিতসুই হাকোইশির জীবনের গল্প পাল্টে দিয়েছিল। হাকোইশির বয়স এখন ১০৮ বছর। ১৯৩৭ সালে শুরু হওয়া জাপান-চীন যুদ্ধের সময় তার স্বামী মারা যান। স্বামী-স্ত্রী দুইজন মিলে দেশটির রাজধানী টোকিওতে নরসুন্দরের কাজ করতেন কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি একা হয়ে পড়েন। এরপর নতুন উদ্যোমে কাজ শরু করেন। কিন্তু ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টোকিওতে বোমাবর্ষণের সময় তার সেলুন ধ্বংস হয়ে যায়।

যুদ্ধের ভয়াবহতা এড়াতে তার  আগেই সন্তানদের নিয়ে তোচিগি অঞ্চলের অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ১০৮ বছর বয়স হয়েছে হাকোইশির। সাদা চুল আর চেহারায় প্রসন্নতা দেখা দিয়েছে। এই বয়সের কাজ করে চলেছেন তিনি। আয় রোজগার করছেন। তার সেলুনে পুরুষেরা চুল-দাড়ি কাটতে আসেন। হাকোইশির মানসিক ও শারীরিক শক্তি অনেক বেশি। এই বয়সেও তিনি অবসরে যেতে চান না।

বিষয়টি অবাক করা মতো। এজন্যই হাকোইশিকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়ষ্ক নারী নরসুন্দর হিসেবে গিনেস ওয়াল্ড রেকর্ডস-এ নাম উঠেছে।

আরো পড়ুন:

জাপানের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ চাইলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান, সুনামি সতর্কতা জারি

৯০ বছর ধরে মানুষের চুল-দাড়ি কাটার কাজ করছেন হাকোইশি। এই স্বীকৃতিতে তিনি খুব খুশি। হাকোইশি গণমাধ্যমকে বলেছেন,  ‘আমার কাছে যারা চুল কাটতে আসেন, তাদের কারণেই আমি এতটা পথ আসতে পেরেছি। আমি আপ্লুত। আমার মন খুশিতে ভরে উঠেছে।’

উল্লেখ্য, হাকোইশির জন্ম জাপানের তোচিগি অঞ্চলের নাকাওয়াগা এলাকার এক কৃষক পরিবারে ১৯১৬ সালের ১০ নভেম্বর। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, মানুষের চুল-দাড়ি কামানোকে পেশা হিসেবে বেছে নেবেন। তারপর চলে যান রাজধানী টোকিওতে। ২০ বছর বয়সে একজন নরসুন্দর হিসেবে লাইসেন্স পান হাকোইশি। তখন স্বামীর সঙ্গে মিলে একটি সেলুন খোলেন।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র বয়স

এছাড়াও পড়ুন:

৮ ম্যাচে ৮ জয়, ২২ গোল, কোনো গোল খায়নি—বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইংল্যান্ডের অবিশ্বাস্য রেকর্ড

ম্যাচ ৮
জয় ৮
গোল ২২
বিপক্ষে গোল ০

২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে এমন নিখুঁত পরিসংখ্যান ইংল্যান্ডের।

ওয়েম্বলিতে গত ২১ মার্চ আলবেনিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। টমাস টুখেলের ইংল্যান্ডের কোচ হিসেবে সেটা ছিল প্রথম ম্যাচ। ২৪০ দিন পর তিরানায় গতকাল রাতে সেই আলবেনিয়াকেই একই স্কোরলাইনে হারিয়ে ইউরোপিয়ান অঞ্চলে নিজেদের বিশ্বকাপ বাছাই শেষ করল টুখেলের দল। ইউরোপের প্রথম দল হিসেবে অক্টোবরেই বিশ্বকাপে খেলার টিকিট তো পেয়েছেই, বাছাইপর্বটা শেষ করার পথে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েছে ‘থ্রি লায়ন্স’রা।

বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এক আসরে ইউরোপের প্রথম দল হিসেবে সব ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি কোনো গোল হজম না করার রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। বাছাইপর্বে অন্তত ছয় ম্যাচ খেলতে হয়েছে—হিসাবটি করা হয়েছে এই বিবেচনায়। তিরানায় আলবেনিয়ার জালে ২ গোল করা ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোলের পরিসংখ্যানে পেছনে ফেলেছেন এডসন অরান্তেস দো নাসিমেন্তোকে। ইংল্যান্ডের হয়ে ১১২ ম্যাচে এ নিয়ে ৭৮ গোল হলো কেইনের। ব্রাজিলের হয়ে নাসিমেন্তোর গোলসংখ্যা ৯২ ম্যাচে ৭৭টি—ওহ ভদ্রলোকের আরেক নাম পেলে!

দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইংল্যান্ড স্ট্রাইকার কেইন গোল পেয়েছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ