সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তের ওপারে ভারতে খাসিয়াদের হামলায় নিহত বাংলাদেশি যুবক শাহেদ মিয়ার (২৫) লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। গতকাল শনিবার রাতে বিজিবি সদস্য ও পুলিশের কাছে এ মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী বড়ছড়া এলাকায় বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে যৌথ পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ভারতের মেঘালয় রাজ্য পুলিশের হেফাজতে থাকা গুলিবিদ্ধ শাহেদের লাশ বিজিবিকে দেওয়া হয়েছে।

পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন জকিগঞ্জ বিজিবি-১৯ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার গোলাম কবির এবং কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম। অন্যদিকে ভারতের পক্ষে বিএসএফ ও সেখানকার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ওসি আবু সায়েম প্রথম আলোকে বলেন, শাহেদের গুলিবিদ্ধ লাশ বিএসএফ হস্তান্তর করেছে। বর্তমানে তাঁর লাশ কানাইঘাট থানার হেফাজতে আছে। আজ রোববার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

আরও পড়ুনভারতের অনুপ্রবেশের পর খাসিয়াদের হামলায় বাংলাদেশির মৃত্যু০৭ মার্চ ২০২৫

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে শাহেদ কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন। একপর্যায়ে খাসিয়া চোরাকারবারিদের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব হয় এবং তাঁদের হামলায় তিনি নিহত হন। পরে তাঁর লাশ বিএসএফ নিয়ে গেলে সেখানকার পুলিশ ময়নাতদন্ত করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কানাইঘাটের এক ব্যক্তি জানান, ভারত থেকে অবৈধভাবে চিনি ও অন্যান্য পণ্যসামগ্রী বহনের জন্য সীমান্ত এলাকার অনেকে মাঝেমধ্যে অনুপ্রবেশ করে থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে, শাহেদও একই কাজে সীমান্ত পাড়ি দেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক