দেশের সব জেলায় কমবেশি মাঠা ও ঘোল তৈরি হয়। তবে অনন্য স্বাদ ও মানে বগুড়ার শেরপুরের মাঠা ও ঘোলের সুখ্যাতি সারা দেশে। উত্তরাঞ্চলের জেলার পাশাপাশি রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে যাচ্ছে শেরপুরের মাঠা ও ঘোল। সারা বছর কমবেশি বেচাবিক্রি হলেও পবিত্র রমজান মাসে ইফতারে দধিজাত এ পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজার শুরু থেকে শেরপুর ও আশপাশের এলাকার শতাধিক কারখানায় প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজার লিটার বোতলজাত মাঠা ও ঘোল বিক্রি হচ্ছে। এসব মাঠা ও ঘোল ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন বাজারে যাচ্ছে। প্রতি লিটার মাঠা ও ঘোল পাইকারি পর্যায়ে গড়ে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। সেই হিসাবে দৈনিক বেচাবিক্রি হচ্ছে অর্ধকোটি টাকার বেশি।

শেরপুরের প্রসিদ্ধ শাম্বা দধি অ্যান্ড সুইটসের মালিক রকিবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, সারা বছর মাঠা ও ঘোল বিক্রি হলেও রমজান মাসে মূল ব্যবসা হয়। আদিকাল থেকেই রোজাদারদের কাছে মাঠা ও ঘোলের কদর বেশি। এখন সারা দেশে মাঠা ও ঘোলের বাজার ছড়িয়ে পড়েছে। শেরপুরের তৈরি মাঠা ও ঘোল ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহসহ দেশের প্রায় সব অঞ্চলে যাচ্ছে। বোতলজাত মাঠা ও ঘোল রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণের পর তা পাঠানো হয়।

মাটির ঢোপ থেকে বোতলে একসময় মাটির হাড়িতে ঘোল ও মাঠা বিক্রি হলেও এখন বোতলজাত করে বিক্রি করা হয়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাবিপ্রবিতে ‘ফ্রম ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার’ বিষয়ক সেমিনার

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবিপ্রবি) ক্যারিয়ার গঠনে ‘ফ্রম ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১ এর সভা কক্ষে ম্যানেজমেন্ট বিজনেস সোসাইটির (এমবিএস) আয়োজনে এবং খাগড়াছড়ির অ্যাডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

জুলাই সনদে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি: ইউপিডিএফ

রাঙামাটিতে পিসিসিপির ডাকা হরতাল প্রত্যাহার

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান। তিনি বলেন, “যেকোনো ক্যারিয়ারে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গকে- অন্তর্ভুক্তি, স্বাধীনতা এবং প্রাধিকার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। যে চাকরিতে এই তিনটি জিনিস থাকবে, সেসব চাকরি স্বাচ্ছন্দ্য ও মর্যাদাপূর্ণ হবে।”

শিক্ষার্থীদেরকে তাদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন স্কিলে উন্নত করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, “দক্ষতার ঘাটতিগুলো শনাক্ত করে সেগুলো কাটিয়ে উঠে নিজের দক্ষতা, যোগ্যতা ও সততা দিয়ে ক্যারিয়ারে সফল হতে হবে। এছাড়াও নিজেদের যে পেশায় আগ্রহ ও দক্ষতা আছে, তা বেছে নিতে হবে।”

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ জুনাইদ কবির, প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক সাদ্দাম হোসেন, ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রহিম উদ্দিন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সূচনা আখতার প্রমুখ।

এছাড়া অ্যাডুলাইফ আইটি ইনস্টিটিউটের সিইও আমির হোসেন রোজেলসহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তারা ক্যারিয়ার গঠনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

ঢাকা/শংকর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ