রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট, ভোগান্তি
Published: 10th, March 2025 GMT
রাজধানীর বনানীতে নারী পোশাক শ্রমিক নিহতের জেরে তার সহকর্মীরা সড়ক অবরোধ করেছেন। এতে বনানী ও আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর অন্যান্য এলাকাতেও। রোজার মধ্যে তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
সোমবার সকাল থেকে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধের কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতেও যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে।
মিরপুর কাজীপাড়া থেকে বনানীতে অফিসগামী ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘সকাল ৮টার সময় বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। কিন্তু কিছুদূর এসেই দেখি রাস্তা বন্ধ। দুইপাশের যাত্রীরা ফুটপাত দিয়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। ফুটপাতেও অনেক ভিড়। তাই সেখানেও হাঁটতে পারছে না মানুষ।’
মেরুল বাড্ডা থেকে তেজগাঁও অফিসে যান রিয়াজ হোসাইন। তিনি সমকালকে বলেন, ‘অন্যদিন অফিসে যেতে আমার ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগে না। কিন্তু আজ মেরুল বাড্ডা, লিংক রোড ধরে অফিসে পৌঁছাতে পুরো ২ ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘অন্যদিন হাতিরঝিলে রাস্তা ফাঁকা থাকলেও আজ এখানেও পয়েন্টে পয়েন্টে তীব্র যানজট, বাইক নিয়ে অফিসে পৌঁছাতে ব্যাপন ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।’
এদিকে রাজধানীর খিলগাঁও, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, মহাখালী, মিরপুর, মগবাজারেও বনানীর যানজটের প্রভাব পড়েছে। অফিসগামী মানুষরা রোজা রেখে যানজটে তীব্র ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, রাজধানীর বনানী এলাকায় চেয়ারম্যানবাড়ি ইউটার্নে ট্রাকচাপায় এক নারী নিহত ও দুজন আহত হন। এই ঘটনায় সকাল থেকে বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি সড়কের উভয়পাশ অবরোধ করেন দুটি কারখানার পোশাক শ্রমিকরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য নজট ত ব র য নজট
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।