পঞ্চম শ্রেণি: বাংলা । ‘এই দেশ এই মানুষ’ প্রবন্ধের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
Published: 10th, March 2025 GMT
৩. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখি।
ক. বাংলাদেশে বাঙালি ছাড়া আর কারা বাস করে?
উত্তর:
আমরা বাঙালি। বাংলাদেশে প্রায় সব লোক বাংলা ভাষায় কথা বলে। বাংলাদেশে বাঙালি ছাড়াও বাস করে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন। এদের কেউ চাকমা, কেউ মারমা, কেউ মুরং, কেউ তঞ্চঙ্গা। এ ছাড়া রাজশাহী আর জামালপুরে বাস করে সাঁওতাল ও রাজবংশী।
খ.
বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের উত্সবগুলোর নাম কী?
উত্তর:
বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বিভিন্ন সময়ে পালন করে থাকে নানা ধরনের উত্সব।
আরও পড়ুনপঞ্চম শ্রেণি-বাংলা : 'এই দেশ এই মানুষ' প্রবন্ধের ১৫টি শব্দার্থ ০৯ মার্চ ২০২৫এই উত্সবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—
১. মুসলমানদের ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা।
২. হিন্দুদের দুর্গাপূজাসহ নানা উত্সব-পার্বণ।
৩. বৌদ্ধদের বৌদ্ধপূর্ণিমা।
৪. খ্রিষ্টানদের ইস্টার সানডে আর বড়দিন।
গ. বাংলাদেশের জনজীবনের বৈচিত্র্যসমূহ কী কী?
উত্তর:
বাংলাদেশের জনজীবন অনেক বৈচিত্র্যময়। এ দেশে বাস করে নানা জাতের, ধর্মের, পেশার মানুষ। এই ভিন্ন ধরনের মানুষের পোশাক-আশাক ও পেশা ভিন্ন ধরনের। এ দেশে যেমন রয়েছে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টধর্মের লোকজন ।
তেমনি রয়েছে চাকমা, মারমা, মুরং, তঞ্চঙ্গা, সাঁওতাল, রাজবংশী ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার লোকজন । এ দেশের জনজীবনের বৈচিত্র্যের মধ্যে রয়েছে নানা পেশার লোকজনের সমাহার। এ দেশে কাজ করে কেউ জেলে, কেউ কুমার, কেউ কৃষক, কেউ আবার অফিস-আদালতে। একটা জায়গায় কিন্তু মিল রয়েছে। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।
আরও পড়ুন৪৮ জেলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, এইচএসসি পাস ১৮-৩৫ বয়সীর সুযোগ, ভাতা দৈনিক ২০০০৬ মার্চ ২০২৫ঘ. ‘দেশ হলো মায়ের মতো।’ দেশকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন?
উত্তর:
মা যেমন আমাদের স্নেহ, মমতা আর ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখেন, দেশও তেমনই তার আলো, পানি, বাতাস ও সম্পদ দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। তাই দেশকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। দেশ হলো মায়ের মতো। তাই আমরা এ দেশকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসব।
ঙ. জেলেদের পেশা কী? তাঁরা যদি কাজ না করে তাহলে আমাদের কী হতে পারে?
উত্তর:
জেলেদের পেশা হলো মাছ ধরা। জেলেরা বাংলাদেশের এক অন্যতম পেশাজীবী। তাঁরা পুকুর, খাল, বিল, নদী ও সাগরে মাছ ধরার কাজ করেন।
জেলেরা যদি তাদের পেশাগত কাজ ঠিকভাবে না করেন, তাহলে আমাদের মাছের চাহিদা পূরণ হবে না। আমরা নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারি। কারণ, মাছ আমাদের অন্যতম পুষ্টিকর খাবার। এটি আমিষজাতীয় খাদ্যের প্রধান উত্স।
চ. আমরা একে অপরের উৎসবে সহযোগিতা করি —এ কথার দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:
বাংলাদেশের জনজীবন অনেক বৈচিত্র্যময় । এ দেশে রয়েছে নানা ধরনের উত্সব। মুসলমানদের রয়েছে দুটো ঈদ— ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। হিন্দুদের দুর্গাপূজাসহ আছে নানা উত্সব আর পার্বণ। বৌদ্ধদের আছে বৌদ্ধপূর্ণিমা, খ্রিষ্টানদের আছে ইস্টার সানডে আর বড়দিন। এ ছাড়া রয়েছে অনেক উত্সব। পয়লা বৈশাখে নববর্ষের উত্সব। রাখাইনদের সাংরাই ও চাকমাদের বিজু উত্সব। প্রতিটি ধর্মের মানুষই তাদের ধর্মীয় উত্সব স্বাধীনভাবে পালন করে থাকে। এক ধর্মের উত্সব-আনন্দ অন্য ধর্মের লোকেরাও উপভোগ করতে পারে। এভাবে আমরা একে অপরের উৎসবে সহযোগিতা করি ।
ছ. দেশকে কেন ভালোবাসতে হবে?
উত্তর:
দেশ মানে এর মানুষ, জনপদ, নদী, আকাশ, প্রান্তর, পাহাড়, সমুদ্র এই সব। দেশকে ভালোবাসা মানে দেশের সবকিছুকে
ভালোবাসা । দেশ হলো মায়ের মতো। মা যেমন স্নেহ, মমতা ও ভালোবাসা দিয়ে আমাদের আগলে রাখেন, দেশও তেমনই তার আলো, বাতাস আর সম্পদ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে। তাই মাকে আমরা যেমন ভালোবাসি, দেশকেও ঠিক তেমনই ভালোবাসতে হবে। দেশকে ভালোবাসার মধ্য দিয়েই সার্থক হয়ে উঠবে আমাদের জীবন।
*লেখক: খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ল কজন ব স কর আম দ র ধরন র
এছাড়াও পড়ুন:
স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?
মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।
কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।
জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)।
১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।
ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া।
অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।
মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ।
ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”
ঢাকা/শান্ত