বলিউডে মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। ১৯৭৩ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে সিনেমার পর্দায় যাত্রা এ অভিনেতার। অভিনয় করেছেন ‘কেয়ামাত সে কেয়ামাত তাক’, ‘ধুম’,‘পিকে’,‘দাঙ্গাল’-এর মতো জনপ্রিয় ছবিতে। ক্যারিয়ারে অর্জন করেছেন কোটি কোটি অনুরাগীর ভালোবাসা।  আগামী ১৪ মার্চ ৬০ বছরে পা রাখবেন অভিনেতা। বিশেষ আয়োজনে মধ্যে দিয়ে উদযাপন করা হবে এবারের জন্মদিন। খবর আনন্দ বাজারের।  

গত রোববার  চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার জানিয়েছেন, ১৪ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত আমির অভিনীত জনপ্রিয় ছবিগুলো দেশের বিভিন্ন মাল্টিপ্লেক্সে দেখতে পাবেন অনুরাগীরা। এই আয়োজনের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘আমির খান: সিনেমা কা যাদুগর’।  

বলি তারকার জন্মদিন ঘিরে অনুষ্ঠান আয়োজন ঘোষণায় কেন জাভেদ আখতারকে আমন্ত্রণ জানানো হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘আমার লেখা চিত্রনাট্যেই প্রথম অভিনয় তার। এমনকি আমিরের ক্যারিয়ারে কবাস্টার সিনেমার চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি।’

জানা গেছে, আমির তার এবারের জন্মদিনে একটি জাঁকজমকপূর্ণ, তারকাখচিত পার্টির আয়োজন করবেন। যেখানে উপস্থিত থাকবেন সালমান খান, শাহখ খান, দীপিকা পাড়ুকোন, রণবীর সিং, কারিনা কাপুর খান, হৃত্বিক রোশন, রানী মুখার্জি, সাইফ আলী খানের মতো তারকারা। 

আমির খানকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ‘লাল সিং চাড্ডা’ সিনেমায়। তাকে এবার দেখা যাবে ‘সিতারে জামিন পার’ সিনেমায়। এটি ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘তারে জামিন পার’-এর সিক্যুয়েল।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম র খ ন আম র খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

গোলের উৎসবের ম্যাচে বার্সা-ইন্টারের রুদ্ধশ্বাস ড্র

চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল মানেই তো উত্তেজনার চূড়ান্ত রূপ। আর মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কাতালোনিয়ার মন্টজুইকে যা দেখা গেল— তা যেন শুধুই একটি ফুটবল ম্যাচ নয়, বরং ছয় গোলের অনির্দেশ্য গল্প। যেখানে বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে একসঙ্গে রচনা করল রোমাঞ্চ আর বীরত্বের এক অপূর্ব মহাকাব্য। দুইবার পিছিয়ে পড়েও অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে ৩-৩ গোলে সমতা টানল কাতালান জায়ান্টরা।

ম্যাচ শুরুই হলো যেন বজ্রপাত দিয়ে। সময়ের কাঁটায় মিনিটও পেরোয়নি। এর মধ্যেই ইন্টারের মার্কুস তুরাম এক চতুর ব্যাকহিল ফিনিশে বল ঠেলে দেন জালে। সেই মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে পড়ে পুরো কাতালান রক্ষণভাগ। এরপর ২১ মিনিটে কর্নার থেকে ডেনজেল ডামফ্রিসের অ্যাক্রোবেটিক ভলিতে যেন বার্সার হৃদয়েই ঘা লাগে, ইন্টারের লিড তখন ২-০ গোলে।

তবে ইতিহাস বলে—  বার্সেলোনার যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, তখনই তারা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সেই ধারাতেই, ডানদিক থেকে দুরন্ত ছন্দে এগিয়ে এসে বক্সে ঢুকে বল জালে পাঠালেন কিশোর বিস্ময় লামিনে ইয়ামাল। ইন্টারের দ্বিতীয় গোলের মাত্র তিন মিনিট পর আসে এই গোল, যা এই ম্যাচে বার্সার ফেরার না বলা প্রতিশ্রুতি হয়ে উঠেছিল।

সেই ইয়ামাল পরে আরও একবার প্রায় গোল করে ফেলছিলেন। কিন্তু ভাগ্য মুখ ফিরিয়ে নেয়। বল লাগে পোস্টে। তবে কাতালান আশা তখনও নষ্ট হয়নি। ৩৮ মিনিটে ফেরান তোরেস ডানদিক থেকে আসা পাসে ওয়ান-টাইম ফিনিশে বল জড়ান জালে, ফিরিয়ে আনেন সমতা। ম্যাচ তখন যেন টানটান থ্রিলারে রূপ নেয় এবং শেষ হয় প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধে বলের দখলে ও খেলার ছন্দে এগিয়ে থাকলেও ৬৪ মিনিটে আবারও হোঁচট খায় বার্সা। কর্নার থেকে হেডে ডামফ্রিস করেন তার দ্বিতীয় গোল। ইন্টার আবারও এগিয়ে যায়। কিন্তু বার্সা মানেই তো ক্ষণিকের বিশ্রামে আবার অগ্নি হয়ে ওঠা। দ্রুতই আসে জবাব। রাফিনহার দূরপাল্লার গর্জে ওঠা শট প্রথমে লাগে পোস্টে, এরপর ফিরে এসে লেগে যায় গোলরক্ষক ইয়ান সমারের পিঠে, এরপর বল ঢুকে পড়ে জালে। ম্যাচ আবারও ৩-৩। যদিও এটি আত্মঘাতী গোল হিসেবে গণ্য হয়, কাতালানদের জন্য তা যেন নবজন্মের এক চুম্বন।

শেষ বাঁশি পর্যন্ত দুই দলই তীব্রভাবে চেষ্টা করেছে জয় ছিনিয়ে নিতে। কিন্তু ভাগ্য সেদিন ছিল ভারসাম্যপন্থী।

এখন সব অপেক্ষা দ্বিতীয় লেগের। আগামী ৬ মে মিলানের ঐতিহাসিক সান সিরো স্টেডিয়ামে লেখা হবে এই নাটকের অন্তিম অঙ্ক। এক ম্যাচ, এক ফলাফল, এক জয়ী— আর সেই জয়ীর জন্য অপেক্ষা করছে মিউনিখের আলো-আড়ম্বরের রাত। ইউরোপীয় ফুটবলের মঞ্চে চূড়ান্ত পরীক্ষার দিন।

সান সিরোর আকাশে হয়তো আবার জ্বলে উঠবে এক নতুন রূপকথার তারা।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোলের উৎসবের ম্যাচে বার্সা-ইন্টারের রুদ্ধশ্বাস ড্র
  • জবি ছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় আটক তরুণ
  • সুইডেনে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৩
  • চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও লিভারপুলের কোন খেলোয়াড়েরা পদক পাবেন না
  • বিশ্বের বড় বড় উৎসব কোথায় হয়
  • প্রাগে পুরস্কৃত ‘নট আ ফিকশন’,অনলাইনে মুক্তি ১ মে
  • ফসলের ক্ষেতে আশার আলো
  • কানে ‘আলী’, দায়িত্ব নিলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়
  • এবার লন্ডনে পুরস্কার জিতল ‘প্রিয় মালতি’
  • আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে চকলেট