সিরাজগঞ্জ সদরে বাবলু মিয়া নামের এক বিএনপি নেতার হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে একই দলের দুই নেতার দলীয় পদ স্থগিত করেছে জেলা বিএনপি। আজ সোমবার সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শেখ এনামুল হকের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পদ স্থগিত হওয়া নেতারা হলেন সদর উপজেলার কালিয়াহরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য রেজা তালুকদার এবং তাঁর ভাই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য বোরহান উদ্দিন তালুকদার।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কালিয়াহরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা তালুকদার ও তাঁর ভাই বোরহান উদ্দিন তালুকদার সম্প্রতি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ কারণে তাঁদের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ স্থগিত করা হলো। একই বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত রেজা তালুকদার ও তাঁর ভাই বোরহানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি ওই ইউনিয়নের কালিয়া কান্দাপাড়া হাট ইজারার বিষয় নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব হয়। এর জেরে রোববার দিবাগত রাতে বাড়ি ফেরার পথে বাবলু মিয়াকে বেধড়ক মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেন রেজা তালুকদার ও তাঁর লোকজন। বাবলু মিয়া একই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ