Risingbd:
2025-05-01@05:02:36 GMT

ফ্যাটি লিভার কাদের বেশি হয়

Published: 11th, March 2025 GMT

ফ্যাটি লিভার কাদের বেশি হয়

বর্তমানে কম বয়সীরাও ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন। ফ্যাটি লিভার 'হেপাটিক স্টেটোসিস' নামেও পরিচিত এতটি রোগ। যকৃতে অতিরক্ত চর্বি জমা হলে তাকে ফ্যাটি লিভার বলে। অতিরিক্ত চর্বি জমা হলে রোগীর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এই রোগ কাদের বেশি হয় জানেন?

‘জার্নাল অফ ক্লিনিকাল অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল হেপাটোলজি’-তে একটি সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরই  ফ্যাটি লিভারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, দীর্ঘ সময়ে বসে থেকে কাজ, রাত জাগার অভ্যাস যাদের রয়েছে তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, কোনো প্রকার নেশা করেন না এমন লোকেদেরও ফ্যাটি লিভার হতে পারে।  যাকে বলে ‘নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার’। 

ভারতীয় চিকিৎসক কুমার গৌরব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ফ্যাটি লিভারের রোগীরা পেটের উপরে ডান দিকে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। এ ছাড়া প্রস্রাবের রং গাঢ় হয়ে যাবে। প্রচণ্ড ক্লান্তি ও ঝিমুনি থাকবে। অনেকের ক্ষেত্রে জন্ডিসের লক্ষণও দেখা দিতে পারে।

নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন যারা—
১.

যাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস আছে 
২. মেনোপজ শুরু হয়েছে এমন নারীদের
৩. স্থূলতা আছে যাদের
৪. শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা যাদের বেশি
৫. অনেক দিন ধরে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন যারা

এই রোগ মোকবিলায় করণীয়: আমাদের একটি ধারণা আছে ফ্যাটি লিভার হলে প্রোটিন গ্রহণ একদমই কমিয়ে দিতে হবে।  চিকিৎসকেরা বলছেন, এটা মোটেও ঠিক নয়। এই রোগ প্রতিরোধ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই উন্নত মানের প্রোটিন খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। তবে মাছ খাওয়ার সময় সেই মাছের চর্বির অংশটি বাদ দিয়ে খেতে হবে। মুরগির চামড়া খাওয়া যাবে না।  গরুর মাংস খেতে পারেন, সেক্ষেত্রে চর্বির অংশ দিয়ে খেতে হবে।  

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এই র গ

এছাড়াও পড়ুন:

একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা

হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।

চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।

শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।

আরো পড়ুন:

বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি

ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা

সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।

শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’

শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন  রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’

চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ