জেলের দাগ একবার যার লাগছে, সেই দাগি...
Published: 11th, March 2025 GMT
‘জেলের দাগ একবার যার লাগছে, সেই দাগি। সারাটা জীবন’। সংলাপটি শোনা গেলো ঈদে মুক্তি পেতে যাওয়া ‘দাগি’ সিনেমার টিজারে। শিহাব শাহীনের সিনেমাটির কথা সিনেমাপ্রেমী প্রায় সবাই জানা। কারণ, এই সিনেমায় আছেন আফরান নিশো। ফার্স্ট লুক পোস্টারের পর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে প্রকাশ পেলো টিজার।
ঈদের সিনেমা হিসেবে ঘোষণা করার পর ‘দাগি’ ছিল দর্শকের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। তাই হয়তো আর দেড়ি করলেন না। সিনেমার সম্পূর্ণ কাজ শেষে না হলেও দর্শকের সামনে আনলেন ১ মিনিট ১১ সেকেন্ড টিজার, যেখানে পাওয়া গেছে থ্রিলার ও অ্যাকশনের আভাস।
‘দাগি’ নির্মাতা শিহাব শাহীন সমকালকে বলেন, ‘কয়েকদিন আগেই সিনেমার শুটিং শেষ করেছে। প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে আজ টিজার মুক্তি দেওয়া হল। শিগগিরিই সিনেমাটি সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডে যাবে। এর মাঝেই ভালো দিন দেখে গানগুলো রিলিজ করবো। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে সবাইকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামবো।’
টিজার দেখে অবশ্য দর্শক ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন গল্প নিয়ে। তবে এই সিনেমায় জেল জীবন বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে এগিয়ে যাবে তা অনায়াসেই বলা হয়। আছে প্রেমেরও ছোয়া।
এছাড়া টিজারে অসহায় নারী রূপে দেখা মিলেছে নায়িকা তমা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামালকে। তবে হিংস্র মানব হিসেবে একঝলক দেখা দিলেন শহীদুজ্জামান সেলিম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিজার দেখে শামিম আদনান নামের একজন লিখেছেন, ‘বস সব সময় আগুনের মতন এন্ট্রি নেবে। টিজারের যদি এমন হয়, মুভিটা যেন কি হয় অসাধারণ।’
বিশেষ করে ডায়ালগের কথা বলেছেন অনেকে। মজা করে জেআরএমআর রহিম লিখেছেন, ‘সত্যি, আরফান নিশোর ডায়লগ বাস্তব কথা বলছে, ‘জেলের দাগ একবার লাগলে জীবনটাই বরবাদ।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ নত ন স ন ম
এছাড়াও পড়ুন:
ইঞ্জিনসংকটে ময়মনসিংহ-জারিয়া রেলপথে ট্রেন বন্ধ, চালুর দাবিতে আলটিমেটাম
ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন থেকে জারিয়া রেলপথে চলাচল করা লোকাল ট্রেনটি ইঞ্জিনসংকটে ২১ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণির যাত্রীরা। বন্ধ ট্রেনটি চালুর দাবিতে ময়মনসিংহ জংশন স্টেশনে আজ সোমবার বেলা পৌনে দুইটায় মানববন্ধনের আয়োজন করেন যাত্রীরা। আগামীকালকের মধ্যে বন্ধ ট্রেন চালু না করলে কঠোর কর্মসূচির আলটিমেটামও দেওয়া হয়।
আজ বেলা পৌনে দুইটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত চলা মানববন্ধনে দাঁড়ানো যাত্রীদের হাতে ‘ব্রিটিশ গেল, পাকিস্তান গেল, বাংলা এল এখন কেন বন্ধ হলো?’, ‘জারিয়া লোকাল ট্রেন চলতে হবে’, ‘জারিয়া লোকাল ট্রেন পুনরায় চালু করতে হবে’, ‘ট্রেন নিয়ে তালবাহানা চলবে না’, ‘ইঞ্জিন নিয়ে প্রতারণা মানি না মানব না’, ‘জাগো জাগো জারিয়া লোকাল ট্রেনযাত্রী, ট্রেনটি চালু করুন, করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান–সংবলিত ফেস্টুন ছিল।
রেলওয়ে ও যাত্রী সূত্রে জানা যায়, জারিয়া লোকাল ট্রেনটি প্রতিদিন কোনো প্রকার সাপ্তাহিক বন্ধ ছাড়া ময়মনসিংহ-জারিয়া রুটে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পথে চারবার করে আপডাউন হিসেবে মোট আটটি ট্রিপে চলে। এই রুটে অন্য কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল না করায় শম্ভুগঞ্জ, গৌরীপুর, শ্যামগঞ্জ, পূর্বধলাসহ আটটি স্টেশনে চলাচলকারী যাত্রীদের লোকাল ট্রেনটিই অন্যতম ভরসা। প্রতিদিনই ট্রেনটিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। এ ট্রেনে করে ময়মনসিংহ মহানগরীসহ গৌরীপুর, ধোবাউড়া এবং নেত্রকোনার পূর্বধলা, দূর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। ট্রেন বন্ধ থাকায় অফিসগামী যাত্রী এবং শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে চার-পাঁচ গুণ বেশি অর্থ ব্যয় করে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে যেতে হচ্ছে তাঁদের। এ ছাড়া ট্রেনটি বন্ধ থাকায় চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের ভোগান্তি ও ব্যবসায়ীদের ময়মনসিংহ শহরে আসা–যাওয়াতে সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া গৌরীপুরের ব্যবসায়ী মনোয়ার হাসিব বলেন, ‘ট্রেনটিতে জারিয়া থেকে অনেক শিক্ষার্থী আনন্দের সঙ্গে ময়মনসিংহ ও গৌরীপুর এসে ক্লাস করে আবার চলে যেত। ট্রেন বন্ধ থাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া বেড়েছে। কাদের মদদে ট্রেনটি বন্ধ করে দেওয়া হলো। ট্রেনটি বন্ধ থাকায় মানুষ চরম দুর্ভোগে আছে। আমরা দ্রুত ট্রেনটি নিয়িমত চালুর দাবি জানাই।’
স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. লিমন জারিয়া থেকে গৌরীপুর এসে প্রতিদিন ক্লাস করে বাড়ি যেতেন। প্রতিদিন সকাল আটটায় জারিয়া থেকে ছেড়ে আসত এবং বিকেল পাঁচটায় গৌরীপুর থেকে ট্রেনে বাড়ি ফিরতেন। কিন্তু ট্রেনটি বন্ধ থাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ২৪০ টাকা ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অথচ ট্রেন চলাচল করলে মাত্র ৪০ টাকা খরচ হতো। লিমন বলেন, ‘পরিবারের আর্থিক অবস্থা ততটা ভালো না যে প্রতিদিন ২৪০ টাকা খরচ করে কলেজে যাওয়া আসা করব। ট্রেন চলাচল করলে কলেজে নিয়মিত ক্লাস করতে যেতে পারতাম।’
ময়মনসিংহ শহরে ব্যবসা করেন পূর্বধলার বিজন সম্মানিত। ট্রেনটি বন্ধ থাকায় যাতায়াতের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা আগামীকাল থেকেই বন্ধ ট্রেন চালু চাই। তা না হলে এ অঞ্চলের ছাত্র ও কর্মজীবীরা আগামীকাল থেকে কঠোর কর্মসূচিতে যাব।’
ইঞ্জিনসংকটের কারণে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে জারিয়া লোকাল ট্রেনটি বন্ধ রয়েছে জানিয়ে ময়মনসিংহ স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘আমাদের লোকাল ট্রেনের মিটারগেজের ইঞ্জিনসংকট চলছে। আমাদের যে ইঞ্জিনটি সমস্যা হয়েছিল, সেটি মেরামতের জন্য ঢাকায় পাঠানো হলেও আর ফেরত আসেনি। ইঞ্জিন পেলে পুনরায় লোকাল ট্রেনগুলো চালু করতে পারব।’