পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের হাঙ্গুতে একটি পুলিশ চেকপোস্টে সন্ত্রাসী হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) গভীর রাতে এ হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাদেশিক সন্ত্রাস দমন বিভাগ (সিটিডি)। খবর দ্য ডনের। 

সিটিডি এক বিবৃতিতি বলেছে, সন্ত্রাসীরা রাতের অন্ধকারে কাজী তালাব চেকপোস্টে কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালিয়েছে। 

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের সঙ্গে সামুদ্রিক সহযোগিতা আরো গভীর করার প্রস্তাব পাকিস্তানের

পাকিস্তানের বোমা হামলায় শিশুসহ ১০ আফগান নিহত

বিবৃতিতে বলা হয়, হামলার জবাবে হাঙ্গু জেলা পুলিশ কর্মকর্তা (ডিপিও) খান জেব মোহমান্দ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

এতে আরো বলা হয়, অভিযান চলাকালীন পুলিশ সদস্যরা এলাকাটি ঘিরে ফেলেন এবং অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে হামলাকারীদের মোকাবিলা করেন। তবে, অভিযানের সময় হেড কনস্টেবল ওয়াহিদ শাহ, হেড কনস্টেবল হিকমত খান এবং আব্দুল সামাদ নামে তিন পুলিশ সদস্য শহীদ হন।

সিটিডির বিবৃতিতে বিস্তারিতভাবে বলা হয়, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে দুই ঘণ্টা ধরে বন্দুকযুদ্ধ চলেছে। সন্ত্রাসীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসীরা রাতের অন্ধকার ও পাথুরে পাহাড়ি পথের সুযোগ নিয়ে তাদের মরদেহ এবং আহতদের সাথে নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে, তল্লাশি ও অবরোধ অভিযানের সময় একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’

খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী সোয়াইল আফরিদি এ হামলার  তীব্র নিন্দা জানিয়ে এটিকে শান্তি বিঘ্নিত করার ন্যাক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত কাজ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই। এমন হামলা প্রদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিতে পারবে না।’

তিনি আরও জানান, শত্রুদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। নিহত ও আহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের পাশে প্রাদেশিক সরকার আছে বলে জানান তিনি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে প্রদেশে। নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) সরকারের সঙ্গে বিদ্যমান এক অস্ত্রবিরতি ২০২২ সালের নভেম্বরে ভেঙে দেওয়া পর থেকেই সন্ত্রাসবাদী হামলা বাড়তে শুরু করে। টিটিপি নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মীদের ওপর হামলা করার অঙ্গীকার করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সন ত র স দ র প ল শ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

পাখি শিকারি থেকে তিনি এখন পাখি সংরক্ষক

রংপুরের কারমাইকেল কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শহিদুল্লাহ সিদ্দিক একসময় বন্দুক দিয়ে অতিথি পাখি শিকার করতেন। তবে সেটা যে ভুল ছিল, তা স্বীকার করে সম্প্রতি নিজেকে পরিবর্তন করেছেন তিনি। শিকারের বদলে এখন তিনি পাখি সংরক্ষণে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। বন্দুক জমা দিয়ে সে লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছেন।

শহিদুল্লাহ সিদ্দিক বলেছেন, পাখি শিকারের জন্য তিনি অনুতপ্ত। এখন পরিবেশকর্মীদের সঙ্গে থেকে পাখি রক্ষাই হবে তাঁর কাজ।

তিনি উপলব্ধি করেছেন এভাবে পরিযায়ী পাখি শিকার করা ঠিক হয়নি। অঙ্গীকারের প্রমাণ হিসেবে তিনি বন্দুকটি জমা দিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এখন থেকে পাখি সংরক্ষণে কাজ করবেন। ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন।তুহিন ওয়াদুদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিবেশকর্মীযে ঘটনায় পরিবর্তন

১৪ নভেম্বর সকালে রংপুরের তিস্তা নদীর তীরে চারজন পরিবেশকর্মী পাখির ছবি তুলতে গিয়ে পাখিশিকারিদের একটি দল লক্ষ করেন। শিকারিদের নৌকার পিছু নেন তাঁরা। ততক্ষণে শিকারিদের হাতে মারা পড়েছে তিনটি খয়রা চখাচখি ও একটি বক।

পরিবেশকর্মীদের ওই দলে ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ।

তুহিন ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই দিন সকালে তিস্তা নদীতে পাখির ছবি তুলতে গিয়ে পাখিশিকারিদের একটি দল চোখে পড়ে। বিষয়টি বুঝতে পেরে শিকারিদের দলটি নৌকা নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরে যেতে থাকে। পরে পরিবেশকর্মীরা তাঁদের ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে শিকারিদের পিছু নেয়। একপর্যায়ে শিকারিদের নৌকায় পৌঁছে যান তাঁরা।

বাতাসে শীতের আমেজ লাগতেই আমাদের হাওর, বিল ও চরাঞ্চলে দেখা যায় হাজার হাজার পরীযায়ী পাখি

সম্পর্কিত নিবন্ধ