তালাবদ্ধ গ্যারেজ আটকা যুবককে ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার
Published: 27th, November 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জ শহরে নিজের মোটরবাইক গ্যারেজের ভেতর আটকে পড়া যুবক মো. রিফাতকে ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে শহরের ইদ্রাকপুর এলাকার গ্যারেজের তালা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করা হয়।
গতকাল বুধবার রাতে তাকে ভেতরে রেখে গ্যারেজ তালাবদ্ধ করে বাড়িতে চলে যান কর্মচারীরা।
রিফাত ইদ্রাকপুর এলাকার মো.
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিফাত গ্যারেজের ভেতর ঘুমিয়ে পড়েন। কর্মচারীরা বাইরে থেকে গ্যারেজে তালা লাগিয়ে বাড়ি চলে যান। সকালে গ্যারেজ খুললে রিফাত বাড়ি ফিরতেন। আজ সকালে কর্মচারীরা গ্যারেজ খোলেননি। ফলে রিফাতের খোঁজে পরিবারের লোকজন গ্যারেজের সামনে আসেন। তারা ডাকাডাকি শুরু করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে তারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন।
তিনি আরো জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা গ্যারেজের তালা ভেঙে রিফাতকে উদ্ধার করেন। রাতে ঘুমানোর পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলের। তাকে চিকিৎসার জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/রতন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টাঙ্গাইল কারাগারে আ. লীগ নেতার মৃত্যু
টাঙ্গাইল কারাগারে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) মধ্যরাতে তিনি মারা যান।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে কারাগারের জেলার মুহাম্মদ জাহেদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন।
আরো পড়ুন:
সৌদি আরবে পুলিশের গুলিতে প্রবাসী নিহত, পরিবারে শোক
বিয়ে বাড়ির খাবার খেয়ে একজনের মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে ১৭
মারা যাওয়া সুলতান মিয়া উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের হরিরপাড়া গ্রামের আজমত আলীর ছেলে। তিনি গোড়াই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
জেল কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার মধ্যরাতে বুকে ব্যথা অনুভব করলে সুলতানকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গত বছরের ৪ আগস্ট ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক-সংলগ্ন গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন’ চলাকালে পুলিশের ছররা গুলিতে গোড়াই ইউনিয়নের লালবাড়ি গ্রামের হিমেলের দুই চোখ অন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় হিমেলের মা নাছিমা বেগম বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মির্জাপুর আমলি আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ, সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ মোট ১০০ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে গত ২৮ অক্টোবর সুলতানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর প্রায় এক মাস তিনি টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে ছিলেন।
জেলার মুহাম্মদ জাহেদুল আলম বলেন, “ময়নাতদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে দেওয়া হবে।”
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ