‘শীতল হোক শরীর, দূর হোক ক্লান্তি; এসির হাওয়ায় মনে আসুক প্রশান্তি’—এই স্লোগানে আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে অনলাইনে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) মেলা। প্রথম আলো ডটকম চতুর্থবারের মতো এই অনলাইন মেলার আয়োজন করেছে।
এবারের আয়োজনে অংশ নিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এসি প্রস্তুতকারক ও বাজারজাতকারী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইলেকট্রোমার্ট (গ্রী এসি), সিঙ্গার বাংলাদেশ, হায়ার বাংলাদেশ, হাউজ অব বাটারফ্লাই, স্মার্ট ইলেকট্রনিকস (সনি-স্মার্ট) এবং মিনিস্টার হাইটেক পার্ক ইলেকট্রনিকস।
আয়োজকেরা জানান, মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নানা মডেলের এসির প্রদর্শনী করা হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশে এসির বর্তমান বাজার ও পরিস্থিতি এবং এসির ব্যবহার নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার থাকবে।
এ ছাড়া রয়েছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলের এসির বিস্তারিত তথ্য ও অফার। ব্র্যান্ডগুলোর বিক্রয়কেন্দ্র ঘুরে তাদের ঈদ আয়োজনসহ থাকছে দেশের জনপ্রিয় তারকাদের এসি নিয়ে রিভিউ ভিডিও।
১০ দিনব্যাপী এ অনলাইন এসি মেলা চলবে ২১ মার্চ পর্যন্ত। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে acmela.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত