‘শীতল হোক শরীর, দূর হোক ক্লান্তি; এসির হাওয়ায় মনে আসুক প্রশান্তি’—এই স্লোগানে আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে অনলাইনে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) মেলা। প্রথম আলো ডটকম চতুর্থবারের মতো এই অনলাইন মেলার আয়োজন করেছে।
এবারের আয়োজনে অংশ নিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এসি প্রস্তুতকারক ও বাজারজাতকারী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইলেকট্রোমার্ট (গ্রী এসি), সিঙ্গার বাংলাদেশ, হায়ার বাংলাদেশ, হাউজ অব বাটারফ্লাই, স্মার্ট ইলেকট্রনিকস (সনি-স্মার্ট) এবং মিনিস্টার হাইটেক পার্ক ইলেকট্রনিকস।
আয়োজকেরা জানান, মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নানা মডেলের এসির প্রদর্শনী করা হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশে এসির বর্তমান বাজার ও পরিস্থিতি এবং এসির ব্যবহার নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার থাকবে।
এ ছাড়া রয়েছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলের এসির বিস্তারিত তথ্য ও অফার। ব্র্যান্ডগুলোর বিক্রয়কেন্দ্র ঘুরে তাদের ঈদ আয়োজনসহ থাকছে দেশের জনপ্রিয় তারকাদের এসি নিয়ে রিভিউ ভিডিও।
১০ দিনব্যাপী এ অনলাইন এসি মেলা চলবে ২১ মার্চ পর্যন্ত। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে acmela.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫