রাজশাহীতে নবম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৫। গ্রেপ্তারের পর তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে র‌্যাব-৫ এর রাজশাহী সদর কোম্পানির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজশাহীর এয়ারপোর্ট থানার সিন্দুর কুসুন্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম জামাদুর ইসলাম (৩৮)। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সাদিপুর গ্রামে তার বাড়ি। 

র‌্যাব জানায়, স্কুলে যাওয়া আসার পথে এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করতো তোজাম্মেল হোসেন উজ্জ্বল ওরফে শ্রাবণ (২৭) নামের এক যুবক। গত ২২ জানুয়ারি জামাদুরের সহযোগিতায় ওই ছাত্রীকে চারঘাটের স্কুলের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় শ্রাবণ। তাকে নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়ে শ্রাবণ ধর্ষণ করে।

পরে বিষয়টি জানতে পেরে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা। মামলার পর থেকেই জামাদুর পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তার করে চারঘাট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

ঢাকা/কেয়া/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় জামায়াতের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিগুলো স্থগিত

কিছুদিন ধরেই রাজধানীর বিভিন্ন আসনে জনসংযোগের পাশাপাশি মেডিকেল ক্যাম্প, শীতবস্ত্র বিতরণের মতো নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিল জামায়াতে ইসলামী। তবে নির্বাচনের তফসিল হওয়ায় সেই কর্মসূচিগুলো স্থগিত ঘোষণা করেছে দলটি।

আজ শুক্রবার জামায়াতের মিডিয়া বিভাগ থেকে পূর্বনির্ধারিত সব কর্মসূচি স্থগিতের কথা জানানো হয়। তার এক দিন আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন।

জামায়াতের আগের ঘোষণা অনুযায়ী, আজ সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর কাফরুলের মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, সাড়ে ৯টায় মিরপুর-১ নম্বরের ঈদগাহ মাঠে ঢাকা-১৪ আসনের গণসমাবেশ এবং বেলা আড়াইটায় বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ঢাকা-৭ আসনের জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল দলীয় আমির শফিকুর রহমানের।

এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৯টায় মধুবাগ মাঠে ঢাকা-১২ আসনের গণসমাবেশে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন এবং সকাল ১০টায় শ্যামলী স্কয়ারের সামনে থেকে ঢাকা-১৩ আসনের গণমিছিলে অংশ নেওয়ার কথা ছিল জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও এই আসনের প্রার্থী মো. মোবারক হোসাইনের।

তবে এই কর্মসূচিগুলোর কোনোটিই হয়নি। আগামীকাল শনিবারের কর্মসূচিগুলোও স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া জামায়াত নেতাদের নির্বাচনের প্রচারমূলক পোস্টারও সরিয়ে নিতে দেখা গেছে দলটির নেতা–কর্মীদের।

নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতেই এই পদক্ষপ বলে জানান জামায়াতের নেতারা। আচরণবিধির ১৮ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের ৩ (তিন) সপ্তাহ আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।

জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের প্রথম আলোকে বলেন, জামায়াত আমিরের কর্মসূচিগুলো ছিল পূর্বনির্ধারিত। সে কারণে সব ধরনের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। তবে তফসিল ঘোষণার পরে আজ শুক্রবার এবং আগামীকাল শনিবারের সব কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে কর্মসূচিগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নির্বাচনী আচরণবিধির ৭ ধারায় বলা হয়েছে, ভোটের প্রচারে কোনো ধরনের পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। কোনো স্থাপনা কিংবা যানবাহনে কোনো প্রকার লিফলেট বা হ্যান্ডবিলও সাঁটানো যাবে না।

এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী এগুলো তফসিলের পরপরই সরিয়ে ফেলতে হবে। নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে কিছু বলার আগে জামায়াত নিজস্ব উদ্যোগে সেগুলো সরিয়ে নিচ্ছে। জামায়াতের আমিরের নির্দেশনায় তা করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ