ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম ব‌লে‌ছেন, মাগুরার নিরপরাধ শিশু ধর্ষণের ঘটনায় যে অভিশপ্তরা জড়িত, তাদের বিচার আগামী ৯০ দিনের মধ্যে শেষ ক‌রে রায় কার্যকর করতে হবে। প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে সেটার বাস্তবায়ন চায় দেশবাসী।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক বিবৃ‌তি‌তে তি‌নি এ কথা ব‌লেন।

মা‌হে রমজা‌নে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, ‘‘পোশাকশ্রমিকের ঘাম ও শ্রমেই দেশের অর্থনীতি সচল থাকে। কিন্তু ঈদ আসলে সেই শ্রমিকদের ঘামে অর্জিত বেতন-বোনাস আদায় করার জন্য রাস্তায় নামতে হয়, বিক্ষোভ করতে হয়। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না। তাই কোন ধরনের অজুহাত না দেখিয়ে ২০ রোজার মধ্যে শ্রমিকের বেতন-বোনাস বুঝিয়ে দিতে হবে।’’

ঢাকার সাততলা বস্তিতে আগুনে সর্বস্ব হারানো অসহায় নাগরিকদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মুফতি রেজাউল করীম বলেন, ‘‘রাষ্ট্রকে অবশ্যই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং দেশের অগ্নি নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।’’

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, ‘‘অপরাধীদের চেয়ে রাষ্ট্র অনেক বড়। ফলে অপরাধীদের দমনের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য না। তাই যে কোন মূল্যে তাদের দমন করতেই হবে।’’

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার গতিপথ ও উন্নয়ন নিয়ে ঢাবিতে সেমিনার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থান ও শিক্ষার গতিপথ: প্রত্যাশা অর্জন ও আগামী দিন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) এলিভেট টকের উদ্যোগে শহীদ ড. সাদাত আলী সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। 

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিনুর রশিদের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্যে দেন, ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো: আবদুস সালাম, ড. মো. আহসান হাবীব, ড. মো. শাহরিয়ার হায়দার, ড. সায়রা হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সম্পাদক মাহাদী হাসান।

আরো পড়ুন:

জবি দ্বিতীয় ক্যাফেটেরিয়া দ্রুত চালুর দাবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

এ সময় অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালাম বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অনেকগুলো স্বপ্নের বীজ বপন করেছিল। তারমধ্যে অন্যতম একটি ছিল, শিক্ষার মানোন্নয়ন। কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সেই শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা আশা রেখেছিলাম নতুন একটা শিক্ষানীতি প্রণয়ন হবে। কিন্তু তারা সেখানে এখন পর্যন্ত হাত দেয়নি।”

শিক্ষার বাজেট নিয়ে তিনি বলেন, “সর্বশেষ যে বাজেট হয়েছিল, সেখানে শিক্ষার বাজেট বৃদ্ধি করা হয়নি। এত স্বল্প বাজেট দিয়ে শিক্ষার মান কখনো বৃদ্ধি করা সম্ভব না। এমনকি শিক্ষকদের মর্যাদার বিষয়ে অনেকদিন থেকে আমরা সংগ্রাম করছি। শিক্ষকদের পরিপূর্ণ মর্যাদা ছাড়া শিক্ষার মান উন্নয়ন কল্পনা করা যায় না।”

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব বলেন, “শিক্ষককে আমরা কিভাবে দেখব? আমরা দেখেছি কোভিডের পরে শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে সঠিক আচরণ করছে না। কিভাবে কথা বলতে হয় বা কি আচার-আচরণ করতে হয়, তা তারা ভুলে গেছে। আমরা হয়ত জেনারেশন গ্যাপে আছি বা হয়তো তারা অনেক অ্যাডভান্স হয়ে গেছে। তবে ২৪ এর অভ্যুত্থানে আমরা তাদের এক হয়ে লড়াই করতে দেখেছি।”

তিনি বলেন, “আমাদের কারিকুলামে ও বই লেখায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকতে হবে। শিক্ষার্থীরা কি চায়, কেনো চায়- তা তাদের তুলে ধরার সুযোগ করে দিতে হবে। কোনো ধরনের পলিটিক্যাল বাঁধা ছাড়া সব জায়গায় স্টুডেন্ট ভয়েস রেইজ করার সুযোগ করে দিতে হবে।”

ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো: শাহরিয়ার হায়দার বলেন, “শিক্ষার্থী এবং আমাদের মধ্যে ভালো বন্ধন তৈরি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষার রেজাল্টের সময় সি প্লাস বা বি গ্রেড পেলে সে আমাকে অন্য চোখে দেখছে। শিক্ষার্থীদের কাছে আমরা জানতে চাই না, তারা আসলে কি চায়? এজন্য আমাদের এজন্য ক্লাইমেট সার্ভে করা দরকার। তাহলে আমরা তাদের চাওয়া পাওয়া সম্পর্কে জানতে পারব। এমনকি শিক্ষার্থীরা এখনো জানে না কিভাবে অন্য লিঙ্গের বন্ধুদের সঙ্গে আচরণ করতে হবে। এ বিষয়ে মাইক্রো কোর্স চালু করা দরকার।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ