আর্জেন্টিনা ম্যাচের আগে বিপদসীমানায় নেইমার–ভিনিসিয়ুসসহ যে ১০ ব্রাজিলিয়ান
Published: 14th, March 2025 GMT
২৬ মার্চ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সুপার ক্লাসিকোতে মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। এই দুই দেশের ম্যাচ ঘিরে এখন থেকেই উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচ বলে কথা।
অন্য যেকোনো ম্যাচের চেয়ে এর গুরুত্ব একটু আলাদা। তবে এই ম্যাচের আগে বড় ধরনের বিপদে পড়ার শঙ্কা আছে ব্রাজিলের। যার ফলে আর্জেন্টিনা ম্যাচের আগেই ব্রাজিল হারাতে পারে দলের সেরা তারকাদের অনেককেই।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ব্রাজিল খেলবে কলম্বিয়ার বিপক্ষে। ২১ মার্চ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে দুই দল মুখোমুখি হবে ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচে ব্রাজিলের ১০ ফুটবলার হলুদ কার্ডের খড়্গ নিয়ে খেলতে নামবেন।
আরও পড়ুন১৬ মাস পর ব্রাজিল দলে ফেরার খবর যেভাবে পেলেন নেইমার০৭ মার্চ ২০২৫অর্থাৎ সেই ১০ জনের কেউ যদি কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেন, তাহলে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে পারবেন না। দক্ষিণ আমেরিকার অঞ্চলের (কনমেবল) বাছাইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, একজন ফুটবলার দুটি হলুদ কার্ড দেখলে তিনি পরের ম্যাচে আর খেলতে পারবেন না।
মেসি–নেইমারের লড়াই দেখার অপেক্ষা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫