বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে পাঁচ নেতাকর্মী আহত
Published: 14th, March 2025 GMT
নাটোরের গুরুদাসপুরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন এবং জামায়াতের নেতাকর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার নাজিরপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত নেতাকর্মীরা নাটোর ও রাজশাহীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টহল জোরদার করেছে। এ ঘটনায় জামায়াতের কর্মী সোহাগের বাবা গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আহত নেতাকর্মীরা হলেন, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সালেহ আহমেদ বিপুল (৪০), বিএনপি কর্মী হারুন (৩৬) ও জামাল হোসেন (৪৫), জামায়াত কর্মী সোহাগ আহমেদ (৩০) এবং কামাল হোসেন (৩২)।
নাজিরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির হামিদুর রহমান সবুজের ভাষ্য, শুক্রবার ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে ইফতার মাহফিলের জন্য গণসংযোগ করছিলেন দলের কর্মী আব্দুর রহিম, সোহাগ আহমেদ ও কামাল হোসেন। একপর্যায়ে ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সালেহ আহমেদ বিপুলের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়।
বিষয়টি সমাধান করা হলেও কিছুক্ষণ পর বিপুল জনবল নিয়ে সোহাগ ও কামালের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযোগ করে হামিদুর রহমান বলেন, এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। জামায়াতের দুই কর্মী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সালেহ আহমেদ বিপুল বলেন, জামায়াতের নেতাকর্মীর দাবি মিথ্যা। ২৫০-৩০০ লোক অস্ত্র নিয়ে এসে তাঁর ও সঙ্গে থাকা দুই বিএনপি কর্মীর ওপর হামলা চালায়। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে নাটোরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগে বাড়ি থেকে বের হতে পারছিলেন না। কোনো স্বজন বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় থানায় অভিযোগ দিতে পারেননি।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন ত কর ম র ব এনপ আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সুজন
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলাসহ অন্তত ১৪ মামলার আসামি সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন (৪৫) কারাবন্দি অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
সাইদুর রহমান সুজনের মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. ফারুক।
কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ মোতাহের হোসেন জানান, সাইদুর রহমান সুজন সূর্যমুখী ভবনের একটি কক্ষে আরও দুই বন্দির সঙ্গে ছিলেন। রোববার সকালে সুজন নাস্তাও করেছেন। এরপর একজনের হাজিরা থাকায় আদালতে যায় এবং আরেকজন ঘুমাচ্ছিলেন। এই সুযোগে সুজন নিজের ব্যবহৃত গামছা দিয়ে জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন। পরে আমরা দ্রুততম সময়েই তাকে উদ্ধার করে কারা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।
গত ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তরা থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। সেদিন রাতেই তাকে সাভার থানায় হস্তান্তর করা হয়। বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুজন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর সাভারের রাজপথে গুলি চালানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে সাইদুর রহমান সুজনের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি করতে দেখা যায়। পটপরিবর্তনের পর তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে সাভার থানায় অন্তত ১৪টি মামলা করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও বিচার চলতে থাকা সুজন তখন থেকে কারাবন্দি ছিলেন।