স্পেশাল অলিম্পিকের ফ্লোরবলে সোনা বাংলাদেশের
Published: 15th, March 2025 GMT
অলিম্পিক গেমসে এখনও পদকের স্বাদ না পেলেও স্পেশাল অলিম্পিকে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য পাচ্ছে বাংলাদেশ। এবার সেই সাফল্যের ধারায় যোগ হলো আরেকটি স্বর্ণপদক। ইতালির তুরিনে অনুষ্ঠিত স্পেশাল অলিম্পিক উইন্টার গেমসে নারী ফ্লোরবল ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার ফাইনালে ইউক্রেনকে ৪-২ গোলে হারায় বাংলাদেশ নারী দল। দলের হয়ে অধিনায়ক স্বর্ণা আক্তার, ফাতেমা তাবাল্লিন ও ফাবিয়া খাতুন একটি করে গোল করেন। আগের আসরেও এই ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছিল বাংলাদেশ।
ফ্লোরবল দলের কোচ হিসেবে ছিলেন বিকেএসপির হকি কোচ জাহিদ হোসেন রাজু। দলের দলনেতা ছিলেন সাবেক ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন শেখ আবুল হাশেম এবং উপ দলনেতা জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক কামরুন্নাহার ডানা। দলে ছিলেন—ফাবিয়া খাতুন, তানমুন ইসলাম, তামাল্লিন, তানজিলা খাতুন, ফাতেমা আক্তার, অনিতা খাতুন, স্বর্ণা আক্তার ও মুক্তা আক্তার।
উল্লেখ্য, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন অ্যাথলেটদের নিয়ে হয় দুই ধরনের অলিম্পিক, প্যারা অলিম্পিক (শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদের জন্য) ও স্পেশাল অলিম্পিক (মানসিকভাবে প্রতিবন্ধীদের জন্য)। বাংলাদেশের সাফল্য মূলত স্পেশাল অলিম্পিকেই বেশি। সামার গেমসে নিয়মিতই অসংখ্য পদক জয় করে বাংলাদেশ। তবে উইন্টার স্পেশাল অলিম্পিকের অনেক খেলা শীতপ্রধান দেশের উপযোগী হওয়ায় সে জায়গায় অংশগ্রহণ তুলনামূলক কম।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অল ম প ক
এছাড়াও পড়ুন:
ইসলামী শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবি
শ্রমিক সমাজের মুক্তির জন্য ইসলামী শ্রমনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে র্যালি, আলোচনা সভা ও সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
মহান মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল থেকে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
গাজীপুরে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ইসলামী শ্রমনীতি ছাড়া যে শ্রমিকের মুক্তি সম্ভব না, তা আজ প্রমাণিত। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরও বিদ্যমান শ্রম নীতিমালাই বাস্তবায়ন করা যায়নি। দেশের অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে, জিডিপির আকার বড় হয়েছে, কিন্তু শ্রমিকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। টাকার অংকে শ্রমিকের বেতন বাড়লেও মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকৃত মজুরি বরং আরো কমেছে। এই বাস্তবতায় রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামকে ভিত্তি বানাতে না পারলে শ্রমিকের ভাগ্য কোনোদিনই পরিবর্তন হবে না।
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান নোয়াখালীর সেনবাগে তার নির্বাচনি এলাকায় শ্রমিক-জনতা সমাবেশে বলেছেন, ইসলামী শ্রম আইন বাস্তবায়নে সামগ্রিক আন্দোলন করা ছাড়া শ্রমিকের সামনে আর কোনো পথ নেই। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সে পথেই হাঁটবে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস কেবল একটি দিন নয়, বরং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায্যতার প্রতীক। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ শুরু থেকেই এ চেতনাকে ধারণ করে শ্রমজীবী জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এবারের দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী যে উদ্দীপনা ও অংশগ্রহণ আমরা দেখেছি, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ও অনুপ্রেরণাদায়ক।
মে দিবসে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নড়াইল, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, মাগুরা, মেঘনাঘাটসহ সাংগঠনিক জেলাগুলো সভা-সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক