অলিম্পিক গেমসে এখনও পদকের স্বাদ না পেলেও স্পেশাল অলিম্পিকে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য পাচ্ছে বাংলাদেশ। এবার সেই সাফল্যের ধারায় যোগ হলো আরেকটি স্বর্ণপদক। ইতালির তুরিনে অনুষ্ঠিত স্পেশাল অলিম্পিক উইন্টার গেমসে নারী ফ্লোরবল ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।

শনিবার ফাইনালে ইউক্রেনকে ৪-২ গোলে হারায় বাংলাদেশ নারী দল। দলের হয়ে অধিনায়ক স্বর্ণা আক্তার, ফাতেমা তাবাল্লিন ও ফাবিয়া খাতুন একটি করে গোল করেন। আগের আসরেও এই ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছিল বাংলাদেশ।

ফ্লোরবল দলের কোচ হিসেবে ছিলেন বিকেএসপির হকি কোচ জাহিদ হোসেন রাজু। দলের দলনেতা ছিলেন সাবেক ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন শেখ আবুল হাশেম এবং উপ দলনেতা জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক কামরুন্নাহার ডানা। দলে ছিলেন—ফাবিয়া খাতুন, তানমুন ইসলাম, তামাল্লিন, তানজিলা খাতুন, ফাতেমা আক্তার, অনিতা খাতুন, স্বর্ণা আক্তার ও মুক্তা আক্তার।

উল্লেখ্য, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন অ্যাথলেটদের নিয়ে হয় দুই ধরনের অলিম্পিক, প্যারা অলিম্পিক (শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধীদের জন্য) ও স্পেশাল অলিম্পিক (মানসিকভাবে প্রতিবন্ধীদের জন্য)। বাংলাদেশের সাফল্য মূলত স্পেশাল অলিম্পিকেই বেশি। সামার গেমসে নিয়মিতই অসংখ্য পদক জয় করে বাংলাদেশ। তবে উইন্টার স্পেশাল অলিম্পিকের অনেক খেলা শীতপ্রধান দেশের উপযোগী হওয়ায় সে জায়গায় অংশগ্রহণ তুলনামূলক কম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অল ম প ক

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ