নানা ধরনের বর্জ্য নিয়ে বিজ্ঞানীরা বেশ দুশ্চিন্তায় আছেন। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা ভূমধ্যসাগরের গভীরতম বিন্দুতে আবর্জনার উপস্থিতি পেয়েছেন। প্রায় ১৬ হাজার ৭৭০ ফুটে নিচে দেখা যাচ্ছে আবর্জনা। একটি নতুন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ভূমধ্যসাগর এখন ইউরোপের গভীরতম আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। মানুষের ক্রিয়াকলাপের কারণে উত্পন্ন প্লাস্টিকবর্জ্য এখন অনেক গভীরে চলে গেছে। ১৬ হাজার ফুট গভীরে ক্যালিপসো ডিপ নামের এলাকায় দেখা যাচ্ছে বর্জ্য। আয়োনিয়ান সাগরের বেশ গভীরে বর্জ্যের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। প্লাস্টিকসহ পানীয়ের ক্যান ও কাগজের কার্টনও দেখা যাচ্ছে বর্জ্য হিসেবে। ‘মেরিন পলিউশন’ বুলেটিনে প্রকাশিত হয়েছে এ গবেষণা।
সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, বর্জ্যের মধ্যে ৮৮ শতাংশ বর্জ্য প্লাস্টিকপণ্য। এখনো গভীর সমুদ্রে বর্জ্য ও প্রাণীর মধ্যে সরাসরি কোনো মিথস্ক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। ভবিষ্যতে এই হুমকি বাড়তে পারে। স্পেনের বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা লিমিটিং ফ্যাক্টর নামক একটি উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন সাবমেরিন ব্যবহার করেছেন বর্জ্যের অবস্থা জানতে। সমুদ্রের নিচে যেখানে বর্জ্য পাওয়া গেছে তার নাম ক্যালিপসো ডিপ, তা গ্রিসের পেলোপোনিজ উপকূল থেকে ৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে সমুদ্রের নিচের একটি সক্রিয় ফাটল। উচ্চ ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপ বেশ দেখা যায় এই অঞ্চলে।
বিজ্ঞানী মিকেল ক্যানাল বলেন, কিছু হালকা বর্জ্য, যেমন প্লাস্টিক উপকূল থেকে এসে ৬০ কিলোমিটার দূরে ক্যালিপসো ডিপে চলে আসছে। কিছু প্লাস্টিক যেমন ব্যাগ, আংশিকভাবে বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস না হয়ে নিচে চলে আসছে। আমরা নৌকার ময়লা-আবর্জনাভর্তি ব্যাগ থেকে বর্জ্য ফেলার প্রমাণ পেয়েছি। ভূমধ্যসাগর এলাকায় এটা বেশ উদ্বিগ্নজনক।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বর জ য
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।
সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।
নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত