Samakal:
2025-08-01@04:43:18 GMT

হামজাদের বরণে প্রস্তুত শিলং

Published: 16th, March 2025 GMT

হামজাদের বরণে প্রস্তুত শিলং

পাহাড়ঘেরা চারপাশ, মাঝে আধুনিক ঝাঁ চকচকে স্টেডিয়াম। স্থানীয়দের কাছে একসময় এই মাঠের নাম ছিল পোলো গ্রাউন্ড। হয়তো ব্রিটিশ আমলে এখানে ঘোড়ার পিঠে চেপে পোলো খেলা খুব জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু গত দশকের শুরু থেকেই ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। পোলো গ্রাউন্ডেই বসানো হয় অ্যাস্ট্রোটার্ফ, দোতলা গ্যালারির কিছু অংশে রাখা হয় ছাদ। হাজার পনেরো দর্শকের এই মাঠটির নামকরণ করা হয় জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম। তখন থেকেই স্থানীয় শিলং প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়।

সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে দর্শকদের আগ্রহে গত কয়েক বছর ধরে সেখানে আই লিগের নিয়মিত ম্যাচও হচ্ছে। তবে কোথায় গিয়ে যেন আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ মিলছিল না শিলংয়ের। পূর্বাঞ্চলে কলকাতার মাঠেই শুধু ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের ম্যাচ রাখা হতো। তবে এবার নাকি কলকাতায় অনাগ্রহ ছিল বাংলাদেশের। তাই শিলংয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ রেখেছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। আর ম্যাচটি ঘিরেই এই মুহূর্তে অধীর অপেক্ষায় রয়েছে শিলং। সেখানকার দৈনিক শিলং টাইমসের খবর, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি ঘিরে প্রস্তুত রয়েছে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম। এরই মধ্যে শহরটিতে পৌঁছে গেছে ভারতীয় দল।

আজ সেখানে মালদ্বীপ দলের পৌঁছানোর কথা। আসলে বাংলাদেশের বিপক্ষে এএফসি বাছাইয়ের প্রস্তুতি নিতেই মালদ্বীপের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ভারত। আর ১৯ মার্চ সেই ম্যাচটি দিয়েই ওই স্টেডিয়ামে প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। স্থানীয় দর্শকদের মধ্যে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচ দুটি নিয়ে নাকি ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। 

মেঘালয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হামেলস্টন দোলিং জানান, ‘এই অঞ্চলের মানুষের কাছে এই প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল দলের খেলা দেখার সুযোগ এসেছে। ম্যাচ দুটি ঘিরে তারা অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন।’ 

দর্শকদের মাঝে টিকিটের চাহিদা যা, তা হয়তো পূরণ করতে পারবেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ওই ফুটবল কর্মকর্তা। ২০ মার্চ বাংলাদেশ দল সেখানে পৌঁছানোর কথা। দোলিং জানান, তারা বাংলাদেশ দলকে বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। ম্যাচ দুটিতে শিলংবাসীর অন্যতম আগ্রহের জায়গায় সুনীল ছেত্রির অবসর ভেঙে ফেরা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ দলে ইংলিশ ক্লাবে খেলা হামজা চৌধুরীর খেলা দেখার অপেক্ষাতেও রয়েছেন তারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপককে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় প্রতিবাদ অব্যাহত, একজন গ্রেপ্তার

পাবনা শহরের কালাচাঁদপাড়ার নিজ বাড়িতে জওহরলাল বসাক তুলশী (৭৭) নামের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপককে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শহরের আবদুল হামিদ সড়কে জেলা ছাত্রদল, যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দল মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনায় করা মামলায় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ঢাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাঁর নাম–পরিচয় প্রকাশ করেনি।

আরও পড়ুনপাবনা এডওয়ার্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপককে কুপিয়ে জখম, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন২৮ জুলাই ২০২৫

স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার পর থেকেই জেলা শহরের বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুপুর ১২টার দিকে জেলা ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল যৌথভাবে মানববন্ধনের আয়োজন করে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সেই সঙ্গে অবিলম্বে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দাবি করা হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুর মাসুম, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক হিমেল রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইয়ামিন খান, সদস্যসচিব কমল শেখ, যুগ্ম আহ্বায়ক দীপঙ্কর সরকার প্রমুখ।

বক্তারা জানান, জহুরলাল বসাক সর্বজনশ্রদ্ধেয় একজন শিক্ষক। তিনি মানুষ গড়ার কারিগর। দেশব্যাপী তাঁর হাজার হাজার ছাত্র রয়েছে। তাঁর মতো একজন মানুষের ওপর এই হামলা ন্যক্কারজনক। এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবি করছেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।

নুর মোহাম্মদ মাসুম বলেন, ‘স্যার (জওহরলাল বসাক তুলশী) একজন সাদামাটা ও হাসিখুশি মানুষ। তাঁর মতো মানুষের ওপর হামলা আমাদের জন্য লজ্জাকর। আমরা ছাত্র হিসেবে এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করছি।’

এ প্রসঙ্গে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পরই পুলিশের বিভিন্ন শাখা আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি হামলার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁকে ঢাকা থেকে পাবনায় আনা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িত অন্যজনকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত বিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, আহত জওহরলাল বসাক পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। গত রোববার বিকেলে দুই ব্যক্তি তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে কুপিয়ে আহত করে ও আসবাবপত্র তছনছ করে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন জওহরলাল বসাক। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এবং শহরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যানারে মানববন্ধন করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অধ্যাপক জওহরলাল বসাকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • পাবনায় অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপককে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় প্রতিবাদ অব্যাহত, একজন গ্রেপ্তার