Samakal:
2025-11-02@17:21:17 GMT

হামজাদের বরণে প্রস্তুত শিলং

Published: 16th, March 2025 GMT

হামজাদের বরণে প্রস্তুত শিলং

পাহাড়ঘেরা চারপাশ, মাঝে আধুনিক ঝাঁ চকচকে স্টেডিয়াম। স্থানীয়দের কাছে একসময় এই মাঠের নাম ছিল পোলো গ্রাউন্ড। হয়তো ব্রিটিশ আমলে এখানে ঘোড়ার পিঠে চেপে পোলো খেলা খুব জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু গত দশকের শুরু থেকেই ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ে ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। পোলো গ্রাউন্ডেই বসানো হয় অ্যাস্ট্রোটার্ফ, দোতলা গ্যালারির কিছু অংশে রাখা হয় ছাদ। হাজার পনেরো দর্শকের এই মাঠটির নামকরণ করা হয় জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম। তখন থেকেই স্থানীয় শিলং প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়।

সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে দর্শকদের আগ্রহে গত কয়েক বছর ধরে সেখানে আই লিগের নিয়মিত ম্যাচও হচ্ছে। তবে কোথায় গিয়ে যেন আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ মিলছিল না শিলংয়ের। পূর্বাঞ্চলে কলকাতার মাঠেই শুধু ভারতীয় জাতীয় ফুটবল দলের ম্যাচ রাখা হতো। তবে এবার নাকি কলকাতায় অনাগ্রহ ছিল বাংলাদেশের। তাই শিলংয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ রেখেছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। আর ম্যাচটি ঘিরেই এই মুহূর্তে অধীর অপেক্ষায় রয়েছে শিলং। সেখানকার দৈনিক শিলং টাইমসের খবর, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি ঘিরে প্রস্তুত রয়েছে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম। এরই মধ্যে শহরটিতে পৌঁছে গেছে ভারতীয় দল।

আজ সেখানে মালদ্বীপ দলের পৌঁছানোর কথা। আসলে বাংলাদেশের বিপক্ষে এএফসি বাছাইয়ের প্রস্তুতি নিতেই মালদ্বীপের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ভারত। আর ১৯ মার্চ সেই ম্যাচটি দিয়েই ওই স্টেডিয়ামে প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। স্থানীয় দর্শকদের মধ্যে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচ দুটি নিয়ে নাকি ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। 

মেঘালয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হামেলস্টন দোলিং জানান, ‘এই অঞ্চলের মানুষের কাছে এই প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবল দলের খেলা দেখার সুযোগ এসেছে। ম্যাচ দুটি ঘিরে তারা অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন।’ 

দর্শকদের মাঝে টিকিটের চাহিদা যা, তা হয়তো পূরণ করতে পারবেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ওই ফুটবল কর্মকর্তা। ২০ মার্চ বাংলাদেশ দল সেখানে পৌঁছানোর কথা। দোলিং জানান, তারা বাংলাদেশ দলকে বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। ম্যাচ দুটিতে শিলংবাসীর অন্যতম আগ্রহের জায়গায় সুনীল ছেত্রির অবসর ভেঙে ফেরা। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ দলে ইংলিশ ক্লাবে খেলা হামজা চৌধুরীর খেলা দেখার অপেক্ষাতেও রয়েছেন তারা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথম খুনি তিনটি গুলি চালিয়ে আরেক খুনিকে চিৎকার করে বললেন, ‘গুলি চালাও’

ভারতের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারে তাঁর জন্ম। সেই অর্থে তাঁর রক্তেই ছিল রাজনীতি।

তরুণ বয়সে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে নাম লেখান তিনি। ৪৯ বছর বয়সে হন প্রধানমন্ত্রী। সরকারপ্রধান, দলীয় প্রধান হিসেবে তাঁকে পাড়ি দিতে হয় বন্ধুর পথ। নিতে হয় কঠিন সব সিদ্ধান্ত।

রাজনীতিতে আপসহীন, দৃঢ় মানসিকতার জন্য তিনি ভারতে ‘লৌহমানবী’ হিসেবে পরিচিতি পান। তাঁর নেতৃত্ব, বিচক্ষণতা, সাহসিকতার নাম–যশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ছড়িয়ে পড়ে।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৮৪ সালের মাঝামাঝি একটি ‘কঠিন’ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সে জন্য অচিরেই তাঁকে জীবন দিয়ে মূল্য চোকাতে হয়েছিল।

১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর তিনি নিজের দুই দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন। তিনি ইন্দিরা গান্ধী, ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুনগাঁদা ফুল, ইন্দিরা গান্ধী ও অন্যদের গল্প০৫ জুলাই ২০১৯নেহরুর মেয়ে

ইন্দিরার জন্ম ১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর। বাবা পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। মা কমলা নেহরু। দাদা মতিলাল নেহরু।

মতিলাল ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। তাঁর ছেলে জওহরলালও ছিলেন ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামের অন্যতম নেতা। তিনি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।

পিতামহ ও পিতার পথ ধরে ইন্দিরা শৈশব-কৈশোরেই ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামে নিজেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ফেলেন। এমনকি ২৫ বছর বয়সেই তাঁকে কারাগারে যেতে হয়েছিল। তিনি ২৪৩ দিন কারা অন্তরিণ ছিলেন।

ইন্দিরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়েছেন। এক বছর করে পড়েছেন শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী ও অক্সফোর্ডের সামারভিল কলেজে। তবে তিনি পড়ালেখা শেষ করতে পারেননি।

ইন্দিরা গান্ধী, ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথম খুনি তিনটি গুলি চালিয়ে আরেক খুনিকে চিৎকার করে বললেন, ‘গুলি চালাও’