পরিচালক রায়হান রাফী নির্মাণ করেছেন ‘আমলনামা’ চলচ্চিত্র। এর ট্রেইলার দেখেও দর্শকদের কেউ কেউ সিনেমাটির সঙ্গে টেকনাফের কাউন্সিল একরামুলের ঘটনার মিল খুঁজেন। সিনেমাটি মুক্তির পর এই গুঞ্জন আরো জোরাল হয়।

বিষয়টি নিয়ে চর্চা চললেও তা নাকচ করেছেন নির্মাতা রায়হান রাফী। তার মতে— চলচ্চিত্রের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের কোনো সম্পর্ক নেই।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে রায়হান রাফী বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, সিনেমাটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নয়। সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত সিনেমা। দেশে যত বিচারবহির্ভূত হত্যকাণ্ড ঘটেছে, সব ঘটনার ছায়া অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করেছি। আমরা অনেকগুলো ঘটনার ছায়া অবলম্বনে একটি গল্প বলার চেষ্টা করেছি। নিশ্চিত করে বলছি, এ গল্পে একক কোনো ব্যক্তি নেই।”

আরো পড়ুন:

বাচসাস’র ইফতার মাহফিলে মিলনমেলা

‘রং খেলার নামে কেউ শরীর স্পর্শ করবে তা হতে পারে না’

এর আগে সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে ‘জানোয়ার’, ‘ফ্রাইডে’, ‘টান’, ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন রায়হান রাফী।

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে রায়হান রাফী বলেন, “এটি নির্দিষ্ট কোনো পরিবারের গল্প নয়। সিনেমাটির সঙ্গে একরামুল হকের কোনো সম্পর্ক নেই। দেশের প্রতিটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সিনেমাটি করেছি। আমরা চাই, সব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার হোক।”

রায়হান রাফীর গল্প নিয়ে ‘আমলনামা’ সিনেমার চিত্রনাট্য রচনা করেছেন রায়হান রাফী ও এস এম নজরুল ইসলাম। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— তমা মির্জা, জাহিদ হাসান, সারিকা সাবরিন, কামরুজ্জামান কামু, গাজী রাকায়েত, গীতাশ্রী চৌধুরী, হাসনাত রিপন, জান্নাতুল মাওয়া ঝিলিক, এ কে আজাদ সেতু, ইনায়া আর্যা প্রমুখ।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র একর ম ল কর ছ ন ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসলামী শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবি

শ্রমিক সমা‌জের মু‌ক্তির জন‌্য ইসলামী শ্রমনী‌তি প্রণয়ন ও বাস্তবায়‌নের দা‌বিতে রাজধানীসহ দে‌শের বি‌ভিন্ন স্থা‌নে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সমা‌বেশ ক‌রে‌ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এর সহ‌যোগী সংগঠনগু‌লো।

মহান মে দিবস উপল‌ক্ষে বৃহস্প‌তিবার (১ মে) সকাল থে‌কে এসব কর্মসূচি পালন ক‌রা হয়।

গাজীপুরে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ইসলামী শ্রমনীতি ছাড়া যে শ্রমিকের মুক্তি সম্ভব না, তা আজ প্রমাণিত। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরও বিদ্যমান শ্রম নীতিমালাই বাস্তবায়ন করা যায়নি। দেশের অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে, জিডিপির আকার বড় হয়েছে, কিন্তু শ্রমিকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। টাকার অংকে শ্রমিকের বেতন বাড়লেও মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকৃত মজুরি বরং আরো কমেছে। এই বাস্তবতায় রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামকে ভিত্তি বানাতে না পারলে শ্রমিকের ভাগ্য কোনোদিনই পরিবর্তন হবে না।

ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান নোয়াখালীর সেনবাগে তার নির্বাচনি এলাকায় শ্রমিক-জনতা সমাবেশে বলেছেন, ইসলামী শ্রম আইন বাস্তবায়নে সামগ্রিক আন্দোলন করা ছাড়া শ্রমিকের সামনে আর কোনো পথ নেই। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন সে পথেই হাঁটবে।

তি‌নি বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস কেবল একটি দিন নয়, বরং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায্যতার প্রতীক। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ শুরু থেকেই এ চেতনাকে ধারণ করে শ্রমজীবী জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এবারের দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী যে উদ্দীপনা ও অংশগ্রহণ আমরা দেখেছি, তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ও অনুপ্রেরণাদায়ক।

মে দিবসে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নড়াইল, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, মাগুরা, মেঘনাঘাটসহ সাংগঠনিক জেলাগুলো সভা-সমা‌বে‌শ ক‌রে‌ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ