শান্তর ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি, এনামুলের শতকে তামিমদের হার
Published: 18th, March 2025 GMT
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে আবাহনীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। শেষ পর্যন্ত নাজমুল শান্তর সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে জিতেছে আবাহনী। ডিপিএলের ষষ্ঠ রাউন্ডে দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এনামুল হক বিজয় সেঞ্চুরি করে তামিমদের ৬৫ রানে হারিয়েছে। এছাড়া ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাবকে ৫৫ রানে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯২ রান তোলে। ওপেনার তানজিদ ২০ বলে ২৪ রান করেন। তিনে নেমে সৌম্য সরকার ৩১ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন। চারে নামা মাহমুদুল জয় ৫৪ বলে ৫০ রান যোগ করেন। জাকের আলী ৩৫ বলে ৩৫ রান করেন। শেখ মাহেদী ১৯ বলে করেন ২৮ রান।
তারা বলের সঙ্গে মানানসই রান করলেও ওপেনিংয়ে নামা সাইফ হাসান ধীর গতির ব্যাটিং করেন। ১০৩ বলের মুখোমুখি হয়ে এই ডানহাতি ব্যাটিং অলরাউন্ডার ৬৭ রান যোগ করেন। যে কারণে রান তিনশ’ হয়নি রূপগঞ্জের। জবাবে তিনে নামা নাজমুল শান্ত ১০৮ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে তুলে নেন। তবে ম্যাচ জিতিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার মাহফুজুর রাব্বি। তিনি ২৫ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় ৩১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। মুমিনুল ৩২ বলে হার না মানা ৩৫ রান করেন। এর আগে ওপেনার জিসান আলম ৪৬ বলে ৪৩ রান করেন। মিঠুন ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। ৮ বল থাকতে জয় পায় আবাহনী।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রানের বড় পুঁজি পায় গাজী গ্রুপ। সাদিকুর রহমান ৭৫ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। অন্য ওপেনার এনামুল ১৪৩ বলে ১৪৯ রান যোগ করেন। তিনি ১২টি চারের সঙ্গে চারটি ছক্কা মারেন। তোফায়েল আহমেদ ৬০ রান যোগ করেন।
জবাবে মোহামেডান ২৭১ রানে অলআউট হয়। মোহামেডানের ওপেনার রনি তালুকদার ৯০ বলে ৭৪ রান করেন। তামিম ৩৪ বলে ৪৮ রান করে আউট হন। তাওহীদ হৃদয় ৩৬ ও মুশফিকুর রহিম ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন। এই ম্যাচে মোহামেডানের পেসার তাসকিন ১০ ওভারে ১০৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক চার ফিফটিতে ৫ উইকেটে ৩০৮ রান তোলে। দলটির হয়ে সাব্বির হোসেন ৭০ বলে ৫০, জাকির হাসান ৮৬ বলে ৬৪, ইরফান শুক্কুর ৫২ বলে ৫৬ ও শামীম পাটোয়ারি ৩৭ বলে ৬২ রান করেন। জবাবে ধানমন্ডি ২৫৩ রানে অলআউট হয়। দলটির হয়ে ফজলে রাব্বি ৭৯ রান করেন। ইয়াসির রাব্বি ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড প এল র ন য গ কর ন র ন র ইন র ন কর ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
২০৭ রানে শেষ অস্ট্রেলিয়া, জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের লক্ষ্য ২৮২
লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের তৃতীয় দিনেই জমে উঠেছে খেলা। দ্বিতীয় ইনিংসে অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল স্টার্কের দৃঢ়তায় ২০৭ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানের লিড থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৮২ রান।
ম্যাচে বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও নেন চারটি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট তুলে নেন এই প্রোটিয়া গতিতারকা। অস্ট্রেলিয়ার শেষ ব্যাটার হিসেবে অপরাজিত ছিলেন মিচেল স্টার্ক, খেলেছেন ৫৮ রানের কার্যকরী ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ২১২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ স্মিথ ও বেউ ওয়েবস্টার ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি। জবাবে কামিন্সের আগুনে পেসে ১৩৮ রানেই অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৭৩ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারায় তারা। একে একে ব্যর্থ হন উসমান খাজা (৬), ক্যামেরুন গ্রিন (০), ট্র্যাভিস হেড (৯), স্টিভ স্মিথ (১৩) ও কামিন্স (৬)। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল স্টার্ক। অষ্টম উইকেটে দুজন গড়েন ৬১ রানের জুটি। ক্যারি করেন ৪৩ রান, স্টার্ক তুলে নেন ফিফটি।
শেষ উইকেটে জশ হ্যাজলউডকে নিয়ে আরও একবার প্রতিরোধ গড়েন স্টার্ক। দুইজন মিলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান ২০০ পেরিয়ে। শেষ পর্যন্ত হ্যাজলউডকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করেন এইডেন মার্করাম।
এখন প্রোটিয়াদের সামনে সুযোগ ইতিহাস গড়ার। প্রথমবারের মতো টেস্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে তাদের প্রয়োজন ২৮২ রান।