ঝালকাঠিতে দল থেকে পদত্যাগ করলেন আ.লীগ নেতা ছিদ্দিক
Published: 19th, March 2025 GMT
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমান দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে কাঁঠালিয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিতভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
ছিদ্দিকুর রহমান লিখিত পদত্যাগপত্রে বলেন, “আমি ২০১৭ সালে উত্তর তালগাছিয়া নেছারিয়া ফাজিল মাদরাসায় অধ্যক্ষ পদে যোগদান করি। মাদরাসার উন্নয়নের লক্ষে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাঁঠালিয়া উপজেলা শাখার কমিটিতে ধর্ম বিষয়ক পদে অন্তর্ভুক্ত হই।”
আরো পড়ুন:
‘এই দোসর দলের রাজনীতি আর করব না’
এবার জাতীয় পার্টি থেকে সাজ্জাদের পদত্যাগ
তিনি আরো বলেন, “বর্তমানে আমি ছারছিনা হুজুরের মতাদর্শে বিশ্বাসী। সেখানকার বর্তমান পীর সাহেব কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমি উক্ত পদ থেকে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে পদত্যাগ করিলাম। ভবিষ্যতে আর কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত হব না।”
ঢাকা/অলোক/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পদত য গ আওয় ম ল গ পদত য গ
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব