টাঙ্গাইলে জামায়াতের ইফতার মাহফিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে শহরের কোদালিয়া এলাকার কেডি মসজিদের সামনের মাঠে ঘটনাটি ঘটে। টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এলাকাবাসী জানান, আজ টাঙ্গাইল পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কেডি মসজিদের সামনের মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে জামায়াতের শহর শাখা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির আহসান হাবীব মাসুদ। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল বাতেনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল ইফতার মাহফিল বন্ধ করার জন্য আয়োজক কমিটিকে চাপ দেয়।

আরো পড়ুন:

ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে কুমিল্লায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত ১৫

নিহত সেলিম তালুকদারের মেয়ের দায়িত্ব নিল জামায়াত

জামায়াত নেতারা ইফতার আয়োজনে অনড় থাকলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। জামায়াতের জেলা আমির আহসান হাবীব মাসুদ ও পুলিশের একটি টিম গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে জামায়াতের নেতাকর্মীরা সেখানেই ইফতার করেন।

টাঙ্গাইল শহর জামায়াতের আমির মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, “ছাত্রদলের টাঙ্গাইল জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব এম এ বাতেন তার সঙ্গীদের নিয়ে আমাদের ইফতার মাহফিলে বাধা দেন। তিনি মাইক বন্ধ করে দেন।”

টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব এম এ বাতেন বলেন, “ইফতার অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের হট্টগোল হয়নি। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। এলাকায় কে বা কারা ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সেটা জানার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম।”

টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহমেদ বলেন, “তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সদস্যদের পাঠিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেষ্টা করা হয়। পরিবেশ স্বাভাবিক হলে সবাই মিলেমিশে সেখানে ইফতার করেন।”

ঢাকা/কাওছার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র ন ত কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বকাপে জায়গা করতে বিশ্বকাপজয়ীকে কোচের দায়িত্ব দিল ইতালি

দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা যে কতটা গৌরবের আর আনন্দের, সেটা একজন বিশ্বকাপ জয়ের-অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়ের চেয়ে আর কে ভালো বোঝাতে পারবেন?

আর এমন ভাবনা থেকেই এবার গানারো গাত্তুসোকে জাতীয় ফুটবল দলের কোচ নিয়োগ দিয়েছে ইতালি। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করা নিয়ে শঙ্কায় আছে। এর আগে খেলতে পারেনি ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপে। টানা তৃতীয় আসর যাতে দর্শক হয়ে না থাকতে হয়, সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী গাত্তুসোকে দায়িত্ব দিয়েছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এফআইজিসি।

২০২৬ বিশ্বকাপের ইউরোপিয়ান বাছাইয়ে ইতালি খেলছে ‘আই’ গ্রুপে। পাঁচ দলের গ্রুপ থেকে শুধু শীর্ষ স্থানধারী দলই বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করতে পারবে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল প্লে-অফে খেলার সুযোগ পাবে। এই মুহূর্তে ‘আই’ গ্রুপে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে নরওয়ে। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইসরায়েল। ইতালির অবস্থান তিনে, ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট।

গত সপ্তাহে নরওয়ের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারার পরই এফআইজিসি কোচ লুসিয়া স্পালেত্তিকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বিদায় নিশ্চিতের পরও সোমবার মল দোবার বিপক্ষে ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়ান স্পালেত্তি, ম্যাচটি ইতালি ২-০ ব্যবধানে জেতে।

নরওয়ে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই জেতায় ইতালি এখন চাপে আছে। হাতে এখনো ৬টি ম্যাচ বাকি। তবে শীর্ষস্থানে থাকতে হলে নিজেদের বাকি সব ম্যাচ তো জিততেই হবে, নরওয়েকেও পয়েন্ট হারাতে হবে। আর এমন জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই ইতালি দলের দায়িত্ব নিচ্ছেন গাত্তুসো।

৪৭ বছর বয়সী গাত্তুসো ২০০০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ইতালির জাতীয় দলে খেলেছেন। এর মধ্যে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সেরা পারফরমারদের একজন ছিলেন। সব ম্যাচেই শুরুর একাদশে ছিলেন, পরে জায়গা করে নিয়েছিলেন বিশ্বকাপের অলস্টার একাদশেও। ২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ডের ক্লাব সিওনে খেলোয়াড় কাম কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তখন থেকে গত ১২ বছরে মোট ৯টি ক্লাবের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন গাত্তুসো। যার মধ্যে আছে নিজের সাবেক ক্লাব এসি মিলান এবং ভ্যালেন্সিয়া ও মার্শেই। সর্বশেষ ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব হাইদুক স্প্লিটের দায়িত্বে ছিলেন, যা গত মাসে পারস্পরিক সমঝোতায় ছেড়ে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোচ হিসেবে মোট ৩৭৬টি ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে গাত্তুসোর জয়ের হার ৪২.৮২ শতাংশ। জিতেছেন ১৬১টিতে, ড্র ১০৮ আর হার ১০৭-এ।
এখন দেখার বিষয়, ইতালি দলে তার সাফল্যের হার কতটা হয়, বিশেষ করে যখন দলের দরকার শতভাগ জয়। ইতালি জাতীয় দল তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে ৫ সেপ্টেম্বর এস্তোনিয়ার বিপক্ষে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ