সমবায় অধিদপ্তরের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পদ সংখ্যা ৫১১
Published: 20th, March 2025 GMT
সমবায় অধিদপ্তরের আওতাধীন পরিচালন (রাজস্ব) বাজেটভুক্ত শূন্য পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এসব পদে নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের ১৫ মার্চ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। সে সময় যারা আবেদন করেছিলেন, তাদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ১৭ ক্যাটাগরির পদে মোট ৫১১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
১.
পদের নাম: পরিদর্শক
পদসংখ্যা: ৩৪
যোগ্যতা: দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ১১,৩০০ থেকে ২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন: সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
২. পদের নাম: মহিলা পরিদর্শক
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ১১,৩০০ থেকে ২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন: সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
৩. পদের নাম: প্রশিক্ষক
পদসংখ্যা: ১৬
যোগ্যতা: দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ১১,৩০০ থেকে ২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন: সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
৪. পদের নাম: ফিল্ড ইনভেস্টিগেটর
পদসংখ্যা: ১৯
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বা অর্থনীতি বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ১১,৩০০ থেকে ২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন: সব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
৫. পদের নাম: কম্পিউটর
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বা পরিসংখ্যানসহ স্নাতক ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ১০,২০০ থেকে ২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।
৬. পদের নাম: সহকারী পরিদর্শক
পদসংখ্যা: ১০৫
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ১০,২০০ থেকে ২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।
৭. পদের নাম: মহিলা সহকারী পরিদর্শক
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ১০,২০০ থেকে ২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।
৮. পদের নাম: সহকারী প্রশিক্ষক
পদসংখ্যা: ১১
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি
বেতন স্কেল: ১০,২০০ থেকে ২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।
৯. পদের নাম: সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ৪৫ ও ইংরেজিতে ৭০ শব্দ হতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২৫ শব্দ ও ইংরেজিতে ৩০ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০ থেকে ২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।
১০. পদের নাম: ড্রাইভার বা ফিল্ম ভ্যান ড্রাইভার
পদসংখ্যা: ৬
যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাসসহ হালকা বা ভারী যান চালানোর বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।
১১. পদের নাম: তাঁত সুপারভাইজার
পদসংখ্যা: ৫
যোগ্যতা: সরকারি বয়ন স্কুল বা স্বীকৃত টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট থেকে কারিগরি কোর্স পরীক্ষায় পাস হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।
১২. পদের নাম: ক্যাশিয়ার
পদসংখ্যা: ৪
যোগ্যতা: স্বীকৃত বোর্ড থেকে বাণিজ্যে এইচএসসি বা সমমান পাস। সংশ্লিষ্ট কাজে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।
১৩. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ১০৮
যোগ্যতা: স্বীকৃত বোর্ড থেকে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দ থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।
১৪. পদের নাম: ডেটা এন্ট্রি অপারেটর
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: স্বীকৃত বোর্ড থেকে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দ থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিটিউড টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।
১৫. পদের নাম: সহকারী ফিল্ম অপারেটর
পদসংখ্যা: ২
যোগ্যতা: স্বীকৃত বোর্ড থেকে এসএসসি বা সমমান পাস। প্রজেক্টর বা জেনারেটর চালানোর কাজে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বেতন স্কেল: ৮,৮০০ থেকে ২১,৩১০ টাকা (গ্রেড-১৮)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।
১৬. পদের নাম: নৈশপ্রহরী
পদসংখ্যা: ৪
যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস। তবে শারীরিক যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৮,২৫০ থেকে ২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।
১৭. পদের নাম: অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা: ১৮৯
যোগ্যতা: স্বীকৃত বোর্ড থেকে এসএসসি বা সমমান পাস।
বেতন স্কেল: ৮,২৫০ থেকে ২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)
যেসব জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি।
বয়সসীমা
২০ মার্চ তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩২ বছর হতে হবে।
আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে এই লিংকে।
পরীক্ষার ফি
পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ৪ নম্বর পদের জন্য টেলিটকের ভ্যাট সার্ভিসসহ ১৬৮ টাকা, ৫ থেকে ১৪ নম্বর পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ১১২ টাকা এবং ১৫ থেকে ১৭ নম্বর পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ৫৬ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মুঠোফোন নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ফি পরিশোধ করতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা
২০ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন ও র ঙ ম ট য সব জ ল র প র র থ সমম ন র ড গ র ক পদস খ য র পদস খ য সমম ন প স ৯ ৩০০ থ ক প রব ন ন গ র ড ১২ পদ র ন ম ২ য গ যত গ র ড ১৪ গ র ড ১৬ র জন য সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা রাখা বাগেরহাটের ছাত্র সামিউল ইসলাম এখন চরম অসহায়ত্ব ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছেন। হামলায় গুরুতর আহত হওয়ায় তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। এমনকি, ঠিকভাবে বসতেও পারেন না সামিউল।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বাগেরহাট কোর্ট চত্বরে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলার শিকার হন সামিউল ইসলাম। এতে তার হাতের পেশি কেটে যায় এবং মাথা ও পিঠে গুরুতর আঘাত লাগে। নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরও পুরোপুরি সুস্থ হননি তিনি।
এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা সামিউল ইসলামের। ২৬ জুন শুরু হতে যাওয়া পরীক্ষায় অংশ নেওয়া নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। তার পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা দাবি জানিয়েছেন, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন পরীক্ষায় বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়, সেরকম ব্যবস্থা করা হোক সামিউলের জন্যও।
সামিউলের প্রতিবেশী শামসুদ্দোহা বলেছেন, “সামিউল হামলায় আহত হওয়ার পর থেকেই নানা সমস্যায় ভুগছে। সরকারিভাবে যেভাবে অসুস্থদের সহায়তা দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়, সেভাবে তাকেও সুযোগ দেওয়া হোক।”
সামিউলের বাবা আইয়ুব আলী শেখ বলেছেন, “আমার একমাত্র ছেলে এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি। এখনো তার পিঠ ও হাতে ব্যথা আছে। অনেক খরচ করে চিকিৎসা করালেও উন্নতি হয়নি। সরকার যেন উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়।”
সামিউলের মা রুবিয়া বেগম বলেছেন, “ছাত্রলীগের হামলায় ওর যা অবস্থা হয়েছে, তা বলার মতো না। আমরা ওকে ভয়ে কোথাও নিতে পারিনি। এখন সে কিছুই করতে পারে না। পরীক্ষা দিতে পারলে হয়ত ভবিষ্যতের একটা রাস্তায় পৌঁছাতে পারত।”
সামিউল ইসলাম বলেছেন, “আমি এখনো স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারি না। খেতেও কষ্ট হয়। লেখালেখি করতে পারি না। এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার স্বপ্ন ছিল, কিন্তু এখনো সুস্থ না হওয়ায় সব অনিশ্চিত হয়ে গেছে। আমি চাই, সরকার যেন আমাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেয় এবং উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।”
আন্দোলনের সহযোদ্ধা মো. রেজুয়ান শেখ বলেন, “ছাত্রলীগ রামদা ও হকিস্টিক দিয়ে সামিউলের ওপর হামলা চালায়। সে এখন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈম শেখ বলেছেন, “সামিউলের চিকিৎসা এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সে আমাদের আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। তার বর্তমান অবস্থা আমাদের ব্যথিত করে।”
রাংদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন বলেছেন, “সামিউল মেধাবী শিক্ষার্থী। সরকার যদি তাকে বিশেষ সুবিধা দেয়, তাহলে সে ভালো ফল করতে পারবে।”
ঢাকা/শহিদুল/রফিক