প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ, ২৫ লাখ দিয়েও ছেলেকে ফিরে পাননি বাবা
Published: 20th, March 2025 GMT
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মিলন হোসেন (২৩) নামের এক যুবককে অপহরণ করেছিল একটি চক্র। পরে অপহরণকারীদের চাহিদামত মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন তার বাবা। কিন্তু, ছেলেকে জীবিত ফেরত পাননি।
বুধবার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার জামালপুল ইউনিয়নের শিবগঞ্জ মহেশপুর বিট বাজার এলাকা থেকে মিলনের লাশ উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিলনের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা মিলনকে হত্যা ও মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অপহরণকারীদের চিনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মহেশপুর বিট বাজার এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে সেজান আলী, আরাজি পাইক পাড়া এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে মুরাদ ও একই এলাকার রত্না আক্তার ইভা।
নিহত মিলন হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও চাপাপাড়া এলাকার পানজাব আলীর ছেলে। তিনি দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিকের পেছন থেকে নিখোঁজ হন মিলন। ঘটনার দিন রাত একটার দিকে মিলনের পরিবারকে মুঠোফোনে অপহরণের বিষয়টি জানানো হয়। অপহরণকারীরা ১২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তিপণের ৩ লাখ টাকা দাবি করে। পরদিন দুপুরে মুক্তিপণের তিন লাখ টাকা দিতে রাজি হন মিলনের বাবা। পরে অপহরণকারীরা মুক্তিপণের টাকা বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। এরপরের দিন মুক্তিপণের দাবি বেড়ে দাঁড়ায় ১০ লাখে। তিন দিন পর ১৫ লাখ আর সবশেষ ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। তাদের চাহিদামত ২৫ লাখ টাকা দিলেও মিলনকে জীবিত পাওয়া যায়নি।
ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছিলাম আমরা। কোনো ক্লু পাচ্ছিলাম না। প্রযুক্তির সহযোগিতায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিলনের লাশ উদ্ধার করা হয়।’’
ঢাকা/হিমেল/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ২৫ ল খ ট ক অপহরণক র ঠ ক রগ এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।
উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।
পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।