নির্বাচন যত দেরি হবে, পানি তত ঘোলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ (টুকু)। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের মুক্তি এসেছে। তবে এখনো পরিপূর্ণভাবে মুক্তি আসেনি। বাংলাদেশের মানুষ গত ১৮ বছর তাঁদের ভোট দিতে পারেননি। তাঁদের মনোনীত, নির্বাচিত সরকার গঠন করতে পারেননি। আজকে গণ-অভ্যুত্থানের প্রায় সাত মাস পেরিয়ে আট মাসে পড়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা সরকারের কাছ থেকে নির্বাচনের কোনো রোডম্যাপ পাইনি। নির্বাচন যত দেরি হবে, পানি তত ঘোলা হবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, ‘আজকে ইসলামের নাম করে, তৌহিদি জনতার নাম করে দেশের মধ্যে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে, এতে কিন্তু কারও লাভ হবে না। যারা ইসলামের জন্য জান দিতে চাইছে, তাদেরও লাভ হবে না।’

বিএনপির কর্মসূচির বিষয়ে ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘রাষ্ট্র মেরামতে আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। এখানে আমরা পরিষ্কার বলেছি, ক্ষমতায় গেলে কী কী করব।’

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম নাসের রহমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবদুর রহিমের (রিপন) সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটির সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম (ময়ূন), সদস্য আবদুল মুকিত প্রমুখ।

ইফতার মাহফিলে জেলার সাত উপজেলার বিএনপি নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এতে অন্যদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য খালেদা রব্বানী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো.

ইয়ামির আলী, খেলাফত মজলিসের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ বিলাল, মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র ইফত র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮

ঢাকাসহ সারা দেশে বিগত সাত দিনে অভিযান চালিয়ে ২৮৮ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, ককটেলসহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনের ইউনিট এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব অভিযানে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তসহ ২৮৮ জনকে আটক করা হয়।

আইএসপিআর জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৫৬টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২টি ককটেল, ৩টি ম্যাগাজিন, মাদকদ্রব্য, বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালামাল ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দিতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ