আবারও পর্দায় ‘জিম’ ফিরছে কি, যা জানালেন জন আব্রাহাম
Published: 21st, March 2025 GMT
যশ রাজ ফিল্মসের ‘পাঠান’ সিনেমায় খলনায়ক ‘জিম’ চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা জন আব্রাহাম। ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া এই অ্যাকশন-থ্রিলার ছিল যশ রাজ ফিল্মসের স্পাই ইউনিভার্স সিরিজের চতুর্থ ছবি। কয়েক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছিল, জিমের অতীত নিয়ে তৈরি হতে পারে একটি প্রিক্যুয়েল অথবা স্পিন-অফ। শেষমেশ এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন জন আব্রাহাম নিজেই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জিম চরিত্রের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে কি এই চরিত্রের ‘ব্যাকস্টোরি’ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে? উত্তরে জন বলেন, ‘আদিত্য চোপড়া কী পরিকল্পনা করছেন, তাঁর মাথায় কী চলছে, সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। তবে হ্যাঁ, আমাদের মধ্যে কিছু আলোচনা হয়েছে। সত্যিই চাই, ব্যাপারটি বাস্তবে পরিণত হোক। সত্যি বলতে, আমি নিজেও এ বিষয়টি নিয়ে পুরোটা জানি না। তবে আশা রাখি, একদিন জিমকে নিয়ে গল্প ভাবা হবে। বিষয়টা বেশ আকর্ষণীয়, তাই চাই এটি হোক।’
এদিন জন আব্রাহাম স্বীকার করেন, বলিউডে খুব সহজেই একঘেয়ে চরিত্রে টাইপকাস্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘পাঠান’-এর পর কি আরও নেতিবাচক চরিত্রের প্রস্তাব এসেছে? মজার ছলে জন বলেন, ‘দক্ষিণ থেকে, উত্তর থেকে, পূর্ব থেকে, সব জায়গা থেকে প্রস্তাব এসেছে।’
মাত্র পাঁচ থেকে সাত সেকেন্ডের মধ্যে সেসব প্রস্তাব ফিরিয়েও দেন জন। অভিনেতা বলেন, ‘আমার বাবা আমাকে শিখিয়েছিলেন “না বলতে শেখো, যেমন সহজে হ্যাঁ বলতে পারো।” তাই আমি “না” বলি, ব্যস!’
আরও পড়ুন২৯৯ টাকায় নিজেকে ওটিটি পর্দায় দেখাতে চাই না: জন আব্রাহাম২৩ জুন ২০২২.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ