Samakal:
2025-06-15@23:09:03 GMT

৯৯ কিলোমিটারে চাঁদার ১২ ঘাট

Published: 22nd, March 2025 GMT

৯৯ কিলোমিটারে চাঁদার ১২ ঘাট

আওয়ামী লীগ আমলে প্রতি গাড়ির মাসিক টোকেন মূল্য ছিল ৭০০ টাকা। এখন তা বেড়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা হয়েছে। ভাড়া নিয়ে এলে আগে স্ট্যান্ডপ্রতি নেওয়া হতো ১০ টাকা; এখন নিচ্ছে ২০ টাকা। এভাবে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হচ্ছে ১২ পয়েন্টে। এ ছাড়া চালক সমিতি ও মালিক সমিতির নামে নেওয়া হচ্ছে আরও ১০ টাকা করে। এর বাইরে চাঁদা দিতে হয় হাইওয়ে ও কমিউনিটি পুলিশকেও; বকশিশ তো আছেই। সারাদিন পরিশ্রম করলেও পথে পথে চাঁদা দিয়ে দিন শেষে ঘরে নিতে পারি না আয়ের অর্ধেক। অটোরিকশাচালক খায়রুল আমিন এভাবেই তাঁর অসহায়ত্বের কথা বলেন সমকালের কাছে। তিনি গত ১০ বছর ধরে গাড়ি চালান চট্টগ্রামের অক্সিজেন-রাঙামাটি জাতীয় মহাসড়ক ও চান্দগাঁও-কাপ্তাই সড়কে। নগরীর সঙ্গে উত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য এলাকাকে সংযুক্ত করা এই দুটি সড়কের মোট দৈর্ঘ্য মাত্র ৯৯ কিলোমিটার। কিন্তু দুটি সড়কেই অন্তত ১২টি পয়েন্টে যানবাহন থেকে প্রতিদিন লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। 

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই দুই সড়কে অটোরিকশা শ্রমিক লীগের ব্যানারে চাঁদাবাজি ও টোকেন বাণিজ্য চলত। চাঁদার ভাগ পেত হাইওয়ে ও কমিউনিটি পুলিশ। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মাস তিনেক বন্ধ ছিল চাঁদার অত্যাচার। কিন্তু এখন আবার শুরু হয়েছে চাঁদাবাজি। উল্টো বেড়েছে চাঁদার অঙ্ক। বর্তমানে নগর অটোরিকশাচালক সমিতি, রাউজান অটোরিকশাচালক সমিতি, রাঙ্গুনিয়া অটোরিকশাচালক সমিতি, লিচু বাগান অটোরিকশাচালক সমিতি, শাহ লতিফ অটোরিকশাচালক সমিতির নামে চাঁদার টোকেন বাণিজ্য হচ্ছে আন্তঃজেলা সড়কে। আলাদাভাবে চাঁদা দিতে হয় হাইওয়ে ও কমিউনিটি পুলিশকেও। ধরন ভিন্ন হলেও অটোরিকশার মতো চাঁদা গুনতে হয় বাস, ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনকেও। তাদেরও মালিক এবং  চালকদের নামে রয়েছে পৃথক সমিতি।
চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে বিক্ষুব্ধ অটোরিকশাচালকরা গত ৭ মার্চ কাপ্তাই সড়ক পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। চাঁদাবাজদের টোকেন বাণিজ্য স্থায়ীভাবে বন্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান। পরে চাঁদাবাজি বন্ধে প্রশাসন ও  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে চালকরা অবরোধ তুলে নেন। কিন্তু পরদিনই ৮ মার্চ চালকদের কাছে আবার চাঁদা দাবি করে সমিতির নেতারা। তখন ফের চালকরা সড়ক অবরোধ করেন। এবারও পুলিশ এসে চাঁদাবাজদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। তার পরও পরিস্থিতি পাল্টায়নি।  

চাঁদাবাজি বন্ধে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কে অবরোধ  
চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কটির দৈর্ঘ্য ৬৬ কিলোমিটার। এ সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে গত ১১ জানুয়ারি অবরোধ করেন অটোরিকশাচালকরা। তাদের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর আগের চাঁদাবাজরা পালিয়ে গেলে সড়কে মাস তিনেক চাঁদাবাজি বন্ধ ছিল। এখন আবার কমিউনিটি পুলিশ পরিচয়ে এবং অটোরিকশাচালক সংগঠনের নাম ব্যবহার করে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে চালকদের সঙ্গে চাঁদা আদায়কারীদের ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। 

আগের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে কাপ্তাই সড়কের চাঁদা
চান্দগাঁও থেকে কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৩ কিলোমিটার। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, এখানে ছয়টি পয়েন্টে চাঁদা দিতে হয় বিভিন্ন ধরনের গাড়িকে। চান্দগাঁও, হাটহাজারীর নজুমিয়া হাট, রাউজানের নোয়াপাড়া, চুয়েট গেট, রাঙ্গুনিয়ার রোয়াজার হাট, লিচু বাগান স্ট্যান্ডে চাঁদা তোলা হয় মালিক ও চালক সমিতির নামে। আগে এই সমিতির নেতারা ছিলেন আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের ছায়ায়। এখন তারা শ্রমিক দল ও বিএনপির নাম ভাঙিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে। এই রুটে বাস সার্ভিস কম থাকায় অটোরিকশায় চড়ে প্রতিদিন গন্তব্যে যেতে হয় মানুষকে। ব্যবহার করতে হয় চান্দগাঁওয়ের কাপ্তাই রাস্তার মাথা। কারণ চট্টগ্রাম জেলার নম্বরে নিবন্ধিত গাড়ি নগরীতে ঢোকায় বিধিনিষেধ আছে। মূলত একে অজুহাত হিসেবে সমানে এনে পুলিশ ও সমিতির নেতারা চাঁদাবাজি করছে। 

রাঙামাটি সড়কে চাঁদা দিতে হয় ছয় পয়েন্টে
চট্টগ্রাম নগর-রাঙামাটি মহাসড়কে ছয়টি স্থানে চাঁদার টোকেন বাণিজ্য চলছে। অক্সিজেন মোড়, নতুনপাড়া ট্যাক্সি স্ট্যান্ড (বিআরটিসি), হাটহাজারী ট্যাক্সি স্ট্যান্ড, জলিলনগর, রাউজান ট্যাক্সি স্ট্যান্ড ও রাঙামাটি বনরুপা ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে চলছে এই চাঁদাবাজি। অটোরিকশাচালক জানে আলম জানান, অতীতে চট্টগ্রাম জেলার নম্বরে নিবন্ধিত গাড়ি অক্সিজেন ও রাঙামাটির বনরুপা আসতে হলে মাসিক টোকেন মূল্য ছিল ৫০০ টাকা। প্রতি ভাড়ায় ১০ টাকা চাঁদা দিতে হতো আলাদাভাবে। বর্তমানে দিতে হয় মাসিক ১ হাজার ২০০ টাকা। প্রতি ভাড়ায় আবার ২০ টাকা করে দিতে হয় ছয়টি স্ট্যান্ডে। রাউজান ও হাটহাজারী পৌরসভার টোল আদায় করে ২০ টাকা করে মোট ৪০ টাকা। পাশাপাশি এ সড়কে সমিতির নামে গাড়িপ্রতি ২০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করে জলিলনগর, হাটহাজারী ও নতুন পাড়া এলাকায়।  

চাঁদাবাজিতে জড়িত কারা 
কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় চাঁদাবাজির মূল হোতা রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মোহাম্মদ হাসান নামে এক ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে আছে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি গ্রুপ। অভিযোগ আছে, তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। সড়কের রাউজান অংশের নোয়াপাড়, চুয়েট পাহাড়তলী, হাটহাজরী অংশে নজুমিয়া হাট ও রাঙ্গুনিয়া অংশে লিচু বাগান, রোয়াজার হাট এলাকায় চাঁদা আদায় করে হাসানের সহযোগীরা। কয়েকজন করে সিএনজি স্ট্যান্ডগুলোতে চাঁদা আদায় রসিদ হাতে তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। চাঁদা আদায় প্রসঙ্গে হাসানের ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। অপরদিকে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কে চাঁদা আদায় করা হয় সিএনজি চালক সমিতির নামে। এ কাজে সড়কে মাঠপর্যায়ে চাঁদা আদায় করতে দিকনির্দেশনা দিতে দেখা যায় মোহাম্মদ রফিক নামে একজনকে। তাঁর সঙ্গে আছে মেহেদী, রাজু, সালাহউদ্দিন, খোকন, বাবুল, রায়হান, রাশেদ। চাঁদা উত্তোলন প্রসঙ্গে মোহাম্মদ রফিক সমকালকে বলেন, আমারা মাসিক টোকেনে টাকা আদায় করি না। মাসিক টোকেনে চাঁদা আদায় করে হাইওয়ে পুলিশ। আমাদের সরকারি রেজিস্ট্রেশন করা চালক সমিতি রয়েছে। আমরা প্রতিদিন ১০ টাকা করে চাঁদা নিয়ে থাকি চালকদের কল্যাণে। সেই টাকা ব্যাংকে জমা হয়। মৃত্যুকালীন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের পরিবারকে সহযোগিতা করা হয় এই জমাকৃত অর্থ দিয়ে। যদিও এই আপৎকালীন অর্থ সহায়তা এখন পর্যন্ত কোনো চালক পাননি বলে দাবি করেন রাউজান অটোরিকশাচালক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক তাজুল ইসলাম।

যা বলছে পুলিশ
রাউজান ও হাটহাজারী অংশের দায়িত্বরত হাইওয়ে পুলিশের এসআই ফখরুল আলম বলেন, ‘সড়কে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন গড়ে ১০-১২টি মামলা দিয়ে থাকি। হাইওয়ে পুলিশ পেশাদারিত্বকে গুরুত্ব দেয়। এখন টোকেন বাণিজ্য করার কোনো সুযোগ নেই কারও।’ 
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, মহাসড়ক দেখভাল করে হাইওয়ে পুলিশ। চাঁদার ব্যাপারে তারাই ভালো বলতে পারবে। সড়কে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। 
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্টের পর নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি আমরা। এর পথে যারা বাধা হবে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সড়ক কিংবা মহাসড়কে যারা নতুন করে চাঁদাবাজি করছে, তাদের তথ্য-উপাত্ত আমরা সংগ্রহ করেছি।’ 

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ লকদ র ২০ ট ক ১০ ট ক হ ইওয় চ লকর অবর ধ ই সড়ক

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইসরায়েলের হামলা

রবিবার বিকেল থেকে ইরানজুড়ে নতুন করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সামরিক স্থাপনার পাশাপাশি ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

রবিবার রাতে ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইদ খাতিবজাদেহ ইসরায়েলি হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে তিনি জানান, রবিবার রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।

এক্স-পোস্টে সাইদ বলেছেন, “ইসরায়েলের অপরাধী শাসকগোষ্ঠী রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঠিক বিপরীতে অবস্থিত ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ভবনে ইচ্ছাকৃত এবং নির্মম হামলা চালিয়েছে।”

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলের নতুন হামলায় ইরানের আইআরজিসির গোয়েন্দা প্রধান নিহত

ইসরায়েলে ৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান, তেল আবিব ও হাইফাতে সরাসরি আঘাত

উপ-মন্ত্রী আরো বলেন, “এই হামলায় বেশ কয়েকজন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন, আমার বেশ কয়েকজন সহকর্মীও আহত হয়েছেন, যাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”

সাইদ বলেন, “এটি আরো একটি স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠীর চলমান ও নিয়মতান্ত্রিক আগ্রাসন অভিযানের অংশ।”

এর আগে শনিবার ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা তেহরানের অস্ত্র উৎপাদন ক্ষমতা ধ্বংস করার লক্ষ্যে ইরানের আইআরজিসি ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে রবিবার নতুন করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে।

বিবৃতিতে  বলা হয়, এই হামলায় ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি), গার্ডস কুদস ফোর্স এবং ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আরো জানিয়েছে, ইরানজুড়ে অসংখ্য অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। 

ইরানি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, ইসরায়েলের এই হামলায় আইআরজিসিরি গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ কাজেমি এবং তার সহকারী হাসান মোহাকিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া মোহসেন বাঘারি নামে আইআরজিসির আরো একজন জেনারেল নিহত হয়েছেন। এর প্রতিশোধ নিতে রবিবার রাতে ইসরায়েলে ৫০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও শতাধিক ড্রোন ছুড়েছে ইরান।

ইসরায়েলের ফায়ার ও রেসকিউ সার্ভিসের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, উত্তর ইসরায়েলে দুটি এবং হাইফায় একটি আবাসিক ভবনে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হানার খবর পেয়েছে তারা।

ইসরায়েলি জাতীয় জরুরি সেবা সংস্থা জানিয়েছে, হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সাতজন আহত হয়েছেন। এছাড়া কিরিয়াত গাটের কাছে দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি শহরে একজন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় ইসরায়েলি সেনাপ্রধান ইয়াল জামির ইরানের ওপর আক্রমণ আরো তীব্র করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একটি বিবৃতি জারি করে ইসরায়েরি সেনাপ্রধান বলেছেন, “আমরা আমাদের অভিযান তীব্রতর করে যাব এবং এটি করে, আগামী বছরগুলোতে আমাদের নিরাপত্তা জোরদার করব। আমরা জানতাম এর একটি মূল্য দিতে হবে এবং এটিই বোঝায় যে, আমরা কেন এখনই পদক্ষেপ নিয়েছি, তা অনেক দেরি হওয়ার আগেই।”

ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে ইসরায়েলি হামলায় ২২৪ জন নিহত এবং ৯০০ জন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন নিহত এবং ৩৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ