গাজীপুরের শ্রীপুরে এক্সিস নিটওয়্যারস লিমিটেড নামের একটি কারখানার শ্রমিক মোশাররফ হোসেনকে মারধরের প্রতিবাদে তার সহকর্মীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। কারখানার সুপারভাইজার আল আমিনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনেছে শ্রমিকরা।

শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে কারখানাটির কয়েক হাজার শ্রমিক মাওনা ইউনিয়নের উত্তরপাড়া এলাকায় মহাসড়কে এসে অবস্থান নেন। এতে সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কের দুই পাশে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।

শ্রমিকেরা মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত কারখানা সুপারভাইজার আল আমিনকে চাকরিচ্যুতসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবি না মানলে সড়ক ছাড়বেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

কারখানার কাটিং সেকশনের শ্রমিক আজিজুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘‘দুপুর ১২টার দিকে কারখানার সুপারভাইজার আল আমিন আমাদের ফ্লোরে এসে সহকর্মী মোশাররফ হোসেনকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। তাকে সজোরে লাথি মেরে মেশিনের ওপর ফেলে দেন। এতে মোশাররফের শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাত্মকভাবে কেটে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ে সে। আমরা সবাই মিলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এ ঘটনায় কারখানার সব শ্রমিক ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তায় নেমে আসে।’’

অপর শ্রমিক মোহাম্মদ ইসাহাক বলেন, ‘‘অভিযুক্ত আল আমিনকে চাকরিচ্যুত করতে হবে। আমাদের ১২ দফা দাবি মানতে হবে। ১২ দফা দাবি না মানলে আমরা সড়ক ছাড়ব না।’’

কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা হাসেম করিম বলেন, ‘‘কারখানার ভেতর একটি অপ্রীতিকর ঘটনার পরপরই আমরা শ্রমিকদের ডেকে বিচারের আশ্বাস দিই। কিন্তু শ্রমিকেরা আশ্বাস না মেনে রাস্তায় চলে যায়। আমরা কারখানার পক্ষ থেকে আহত শ্রমিকের সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু শ্রমিকেরা হঠাৎ করে অনেকগুলো দাবিদাওয়া নিয়ে সড়কে অবস্থান নিয়েছে। আমরা বেতন-ভাতা সব সময় নিয়মিত পরিশোধ করি। যে দাবিগুলো করা হচ্ছে এগুলো হঠাৎ করে তাদের করা। আমরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দিয়েছি।”

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, “শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানা কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয়েছে। শ্রমিকরা যে দাবিগুলো উপস্থাপন করেছেন তা নিয়ে আলোচনা করার আশ্বাস দেওয়া হলে আন্দোলনরত শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যায়। এরপর বেলা পৌনে ৩টায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।”

ঢাকা/রফিক/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন

নাটক, সিনেমা কিংবা ওয়েব—সব প্ল্যাটফর্মেই তিনি সরব। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই অভিনেতা চাকরির ফাঁকে শুটিং করেন। একসঙ্গে দুই জায়গায় মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। এ কারণে দু–তিন মাস পরপরই সিদ্ধান্ত নেন, চাকরি ছাড়বেন। তাঁর এই চাকরি ছাড়ার কথা শুনলেই এখন সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন। এই অভিনেতার নাম মোস্তফা মন্ওয়ার। আজ তাঁর জন্মদিন।

এই অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, চাকরি ছাড়ার কথা তিন-চার মাস পরপর বলবেন—এটা সহকর্মীরা ধরেই নিয়েছেন। কারণ, শুটিংয়ে সময় দিতে হয়। অফিসেও দায়িত্ব পালন করতে হয়।

মোস্তফা মন্ওয়ার বলেন, ‘দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে আমি অভিনয় ও চাকরি একসঙ্গে করছি। অনেকবার চেয়েছি চাকরি ছেড়ে শুধু শুটিং শুরু করি। কিন্তু কোনোভাবেই এটা হচ্ছে না। অর্থনৈতিক কারণে অভিনয়কেই শুধু পেশা হিসেবে নিতে পারছি না। চাকরিও ছাড়তে পারছি না। এর আগে চার-পাঁচবার চাকরি ছেড়েছি। কিন্তু আবার চাকরিতেই ফিরতে হয়েছে। ছুটির দিনে পরিবারকে সময় দিতে পারি না। শুটিংয়ে যাই।’

মোস্তফা মন্ওয়ার। ছবি: ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন