দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান। তিনি বলেন, বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ছুড়ে পতিত ফ্যাসিস্টকেই সহযোগিতা করা হচ্ছে।

আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে কথাগুলো বলেন নাজমুল হক প্রধান। ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, নারীর প্রতি সহিংসতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদ এবং দ্রুত খুনি–লুটেরাদের বিচার ও নির্বাচনের’ দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন; কিন্তু বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ছুড়ে দিয়ে যাঁরা রাজনৈতিক অঙ্গনকে উত্তপ্ত করছেন, তাঁরা মূলত পতিত ফ্যাসিস্টকেই সহযোগিতা করছেন। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে গণতন্ত্রের রাস্তায় উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করছেন।

নাজমুল হক প্রধান বলেন, মানুষকে বাজারভীতিতে পেয়ে বসেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ। নারীর প্রতি সহিংসতা চরমে পৌঁছেছে। ‘মব জাস্টিসের’ নামে লুটপাট হচ্ছে। লুটেরা–খুনিদের বিচার এখন সময়ের দাবি। ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য জরুরি।

সমাবেশে জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন বলেন, আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করতে না পারলে ভবিষ্যতে মানুষ রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাবে। নারীরা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। আজ তাঁদের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের পাঁয়তারা চলছে।

সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ জাসদ একটি মিছিল নিয়ে রাজধানীর পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে মিছিলটি দলের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি আব্দুস সালাম খোকনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল কাদের হাওলাদার, করিম সিকদার, রোকনুজ্জামান রোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোকসেদুর রহমান প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর স থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে: ডিএমপি কমিশনার
  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের