সিলেটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ইফতার মাহফিলে হট্টগোল হয়েছে। আজ শনিবার নগরীর আরামবাগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্য, পেশাজীবী, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের নিয়ে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে। উপস্থিত সাংবাদিকরা এ ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করতে চাইলে তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এনসিপির কিছু নেতাকর্মী। এতে অনেক সাংবাদিক ইফতার না করেই বেরিয়ে আসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইফতারের ঠিক সাত-আট মিনিট আগে মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা.

তাসনিম জারা। এমন সময় মঞ্চের সামনে আসন রাখা ও বক্তৃতা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তরুণ নেতৃত্বে গড়া দলটির নেতাকর্মীরা বিতর্কে জড়ান। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতি শুরু করেন। এ সময় ভিডিওচিত্র ধারণের চেষ্টা করলে গণমাধ্যমকর্মীদের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সিলেট অনলাইন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান তালুকদার বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে আন্দোলন চলমান থাকবে: নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী
ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলটির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী। তিনি এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ক্যান্টনমেন্ট নিয়ে করা বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা উচিত হয়নি বলে মন্তব্য করেন। সেই সঙ্গে তিনি এটিকে ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত’ বলেও বর্ণনা করেন। আওয়ামী লীগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরানো কাজ যে করবে, তাদের শক্ত হাতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করব। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের আন্দোলন চলমান থাকবে।

ইফতার মাহফিলে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা, জুলাই গণঅভ্যুত্থান আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্য, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প ইফত র এনস প র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।

শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাগরিক সমাজ শাসকদের পক্ষে থাকে কেন?
  • আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি