বগুড়ার শেরপুরে আকবর আলী (৬০) নামে এক কবিরাজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধড়মোকাম কবরস্থানের পশ্চিম পাশে চারমাথা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আকবর আলী ধড়মোকাম গ্রামের মৃত আকিজ আলীর ছেল।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় শাহবন্দেগী ইউনিয়নে শ্রমিক লীগের নেতা ও ধড়মোকাম দক্ষিণ পাড়ার ওসমান আলীর ছেলে আব্দুল লতিফকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
পাবনায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে পলাতক
পল্লবীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নিহতের ছেলের শাহ জামাল স্ত্রী বিউটি জানান, তার শ্বশুর কবিরাজ ছিলেন। শনিবার রাত ৯ টার দিকে আব্দুল লতিফ নামে একজন মোবাইল ফোনে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর রাত ১১টার দিকে প্রতিবেশীরা তাকে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে শাহ জামাল বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পাই। এসময় পাশেই একটি মোবাইল ফোন ও গায়ের চাদর পাওয়া যায়। মোবাইলটিতে কল দিয়ে নিশ্চিত হই এগুলো ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি ও ধড়মোকাম দক্ষিণ পাড়ার ওসমান আলীর ছেলে আব্দুল লতিফের। আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।”
শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনাটি উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থল থেকে ধারালো অস্ত্র, মোবাইল ও চাদর উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ এবং তার পরিবারের লোকজন পলাতক।”
ঢাকা/এনাম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অভ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে নছিমন চাপায় মাছ ব্যবসায়ী নিহত
আড়াইহাজারে নছিমন চাপায় আলী আকবর (৬৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে উপজেলার উচিৎপুরা-রামচন্দ্রদী সড়কের গহরদী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আলী আকবার উচিৎপুরা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আলী আকবর মাছের ব্যবসা করতেন। ঘটনার সময় ভোরে মাছ আনার জন্য তিনি দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে একটি নছিমন দিয়ে ভুলতার উদ্দেশে রওনা দেন।
গহরদী এলাকায় আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নছিমনটি রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এতে আলী আকবর গাড়ীর নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। এই সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মূত ঘোষনা করেন।
আড়াইহাজার সরকারি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সুমন দাস জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। তার শরীরে কোনো আঘাত ছিল না। চাপা পড়ে তিনি মারা যান।