কোহলি-সল্টে উড়ে গেল শাহরুখের কলকাতা
Published: 23rd, March 2025 GMT
আইপিএল ইতিহাসের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) ও কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। সেই ম্যাচটা হয়েছিল বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বমী স্টেডিয়ামে। শনিবার (২২ মার্চ) ১৮তম আসরে এসে আবারও শুরুর ম্যাচটা অনুষ্ঠিত হলো এই দুই দলের মাঝে। তবে কলকাতা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়, গতকালের ভেন্যু ছিল ইডেন গার্ডেন্স।
টস জিতে আরসিবি কাপ্তান রজত পাতিদাল কেকেআরকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান করে কলকাতা। জবাবে ১৬.
আরো পড়ুন:
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট বসল ইডেনে
‘তুমি আর নেই সে তুমি’ - আনুশকার রহস্যময় পোস্ট
ম্যাচ শুরুর আগে ইডেনে হয়ে যায় চোখ ধাঁধানো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বসেছিল চাঁদের মেলা। দিশা পাটানির নাচ ও শ্রেয়া ঘোষালের নাচে গানে মাতিয়ে দেন গোটা স্টেডিয়াম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অভিনেতা ও কেকেয়ার স্বত্বাধিকারী শাহরুখ খান। বলিউড বাদশাহর খুনসুটি ও নাচের সঙ্গী ছিলেন বিরাট কোহলি ও রিংকু সিং।
ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কেকেআর শুরুটা দারুণ করেছিল। প্রথম ওভারেই কুইন্টন ডি ককের উইকেট হারালেও, রানের চাকা চলতে থাকে কলকাতার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দারুণভাবে কলকাতাকে এগিয়ে নেন সুনীল নারিন ও অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে। এ দুজন মিলে গড়েন ৫৫ বলে ১০৩ রানের জুটি। রাহানে ৫৬ করেন রান অন্যদিকে নারিনের সংগ্রহ ছিল ৪৪ রান। বল হাতে কুনাল পান্ডিয়া নেন ৩ উইকেট। জস হ্যাজেলউডের শিকার ২ উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে বিরাট কোহলি এবং ফিল সল্টের উপর ভর করে জয়ের বন্দরে সহজে পৌঁছে যায় বেঙ্গালুরু। এই দুই ব্যাটসম্যান প্রথম উইকেটেই ৯৫ রানের জুটি গড়েন। সল্ট ৫৬ রান করে আউট হয়ে গেলেও, বিরাট শেষপর্যন্ত ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক এই ইনিংস খেলার পথে ৩৮ রান করার পরই আইপিএলে কলকাতার বিপক্ষে এক হাজার রানের কীর্তি গড়েন।
প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে চারটি দলের বিপক্ষে এক হাজারের বেশি রান করলেন কোহলি। এর আগে দিল্লী ক্যাপিটালস(১০৫৭ রান), চেন্নাই সুপার কিংসের (১০৫৩ রান) ও পাঞ্জাব কিংসের (১০৩০ রান) বিরুদ্ধে এই রেকর্ড গড়েছিলেন কোহলি। একই সাথে এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ৪০০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তাছাড়া কলকাতা-বেঙ্গালুরু প্রথম আসরের প্রথম লড়াইয়ে অংশ নেওয়া কোহলিই একমাত্র ক্রিকেটকার, যিনি এখনও খেলছেন।
ঢাকা/নাভিদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক হল অন ষ ঠ র ন কর কলক ত উইক ট প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।
আরো পড়ুন:
কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস
ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।
বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।
তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।
৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।
ঢাকা/আমিনুল