কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এতে আহ্বায়ক হিসেবে গণিত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. হান্নান রাহিম এবং সদস্য সচিব হিসেবে লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওসমান গনীকে মনোনীত করা হয়েছে।

রবিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ইনকিলাব মঞ্চের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি ও সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি মনোনীত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২১ দিনের ছুটি চলাকলে কুবি প্রক্টরের ৫ নির্দেশনা

মামলা থাকায় কুবির ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে সাময়িক বরখাস্ত

কমিটিতে আরো আছেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক আল নাহিয়ান, যুগ্ম-সদস্য সচিব মো.

হাসান অন্তর, দপ্তর সম্পাদক হাসান ইমাম ফরহাদ, মিডিয়া সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, পাঠচক্র সম্পাদক নাদিয়া আফরোজ সিম্মি, শিল্প সাহিত্য সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, পরিবেশ ও পর্যটন সম্পাদক আরিফ হোসাইন, স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মহিবুস সাবের তালহা।

এছাড়া, এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে ২৫ জনকে মনোনীত করা হয়েছেন। 

আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ওসমান গনী বলেন, “এটি একটি রাজনীতি সচেতন সাংস্কৃতিক সংগঠন। বাংলাদেশপন্থি এ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আনন্দিত। সব আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে লড়াইয়ের মাধ্যমে একটি ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইনকিলাব মঞ্চ চেষ্টা করে যাবে, যেখানে আমাদের পরিচয় হবে আমরা বাংলাদেশপন্থি।”

আহ্বায়ক মো. হান্নান রাহিম বলেন, “ইনকিলাব আগ্রাসনবিরোধী বাংলাদেশপন্থি একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ক্লাবের মতোই কাজ করবে। তবে ইনকিলাব প্রচণ্ডরকম রাজনৈতিক সচেতন থাকবে, যাতে সব ধরনের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে রুখে দেওয়া যায়।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ওসম ন

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ