বিভিন্ন গণমাধ্যমে গত ১৮ মার্চ ‘ফু-ওয়াং ফুডস কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না, মহাসড়ক অবরোধ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে পুঁজিবাজারে খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। 

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কারণ দর্শানোর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ এ ব্যাখ্যা প্রদান করেছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে ফু-ওয়াং ফুডস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মার্চসহ দুই মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। নথি অনুযায়ী শ্রমিকদের দাবি সঠিক নয়। আমরা শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারির বেতন নিষ্পত্তির জন্য প্রস্তুত আছি। ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন রবিবার বিকেলে দেওয়া শুরু হয়েছে। রাত হওয়ায় এবং টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ায় কিছু শ্রমিকের বেতন বাকি ছিল। ব্যাংক থেকে টাকা আনার পর বেতন দেওয়া শুরু হবে। আমরা ইতোমধ্যে কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রমিকদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আমরা আশা করছি শিগগিরই শ্রমিকদের দাবি পূরণ হবে।

এর আগে ‘ফু-ওয়াং ফুডস কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না, মহাসড়ক অবরোধ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা চেয়ে গত ১৮ মার্চ কোম্পানিকে চিঠি পাঠায় ডিএসই।

ঢাকা/এনটি/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ