১৯৭৬ সালের ৪ এপ্রিল। বঙ্গভবনে ছিল সাজ সাজ রব। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম। ফলে আয়োজনের কোনো খামতি ছিল না।
এই জমকালো আয়োজনে রোশনাই ছড়িয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ তারকারা। আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় তিন বাহিনীর প্রধানসহ আরও অনেকেই ছিলেন। এর আগে ২৪ মার্চ পুরস্কার ঘোষণা করেন তথ্যসচিব এ বি এম গোলাম মোস্তফা; প্রথম বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বরাতে পরদিন ২৫ মার্চ খবরটি দৈনিক বাংলা, দৈনিক ইত্তেফাক, সংবাদসহ বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করে।
এ বি এম গোলাম মোস্তফাকে উদ্ধৃত করে দৈনিক বাংলা লিখেছে, ‘ভালো ও উন্নত মানের ছবি নির্মাণে উৎসাহ জোগানো ও কোনো বিশেষ চলচ্চিত্রে বিশেষ নির্মাণকুশলতার স্বীকৃতি দিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়েছে।’

১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার নির্মাতা, শিল্পী ও কলাকুশলীদের ১২টি শাখায় মোট ১৩ জনকে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সালে বেবী ইসলামের ‘চরিত্রহীন’, নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘লাঠিয়াল’, খান আতাউর রহমানের ‘সুজন সখী’, মোহসীনের ‘বাঁদী থেকে বেগম’, আলমগীর কবিরের ‘সূর্য কন্যা’র মতো হিট সিনেমা মুক্তি পায়।

তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের কাছ থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন ‘লাঠিয়াল’ সিনেমার প্রযোজক ও নির্মাতা নারায়ণ ঘোষ মিতা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ