খুলনায় ঘুষ নেওয়ার দায়ে এলজিইডির প্রকৌশলীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
Published: 25th, March 2025 GMT
ঘুষ গ্রহণের দায়ে খুলনার কয়রার উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী এস এম হাবিবুল্লাহকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার খুলনার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম ওই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি এস এম হাবিবুল্লাহ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ঠিকাদারি কাজের বিল দেওয়ার সময় এক লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান বলেন, ২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল এক লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় দুদকের অভিযানে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে আটক হন এস এম হাবিবুল্লাহ। এ ঘটনায় দুদকের উপসহকারী পরিচালক আবুল হাসেম বাদী হয়ে কয়রা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক এস এম শামীম ইকবাল ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট হাবিবুল্লাহকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এলজিইডি অফিসে দুদকের অভিযান, নিয়ে গেছে বিভিন্ন নথি
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দলের সদস্যরা। এ সময় তাঁরা ওই কার্যালয় থেকে বর্তমানে বিভিন্ন চলমান প্রকল্প ও গত পাঁচ বছরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের নথি নিয়ে গেছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত এই অভিযান চালায় দুদকের দলটি।
অভিযানে ছিলেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মশিউর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। অভিযান শেষে দুদকের উপসহকারী পরিচালক মশিউর রহমান প্রথম আলোকে জানান, তাঁরা প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বন্দর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ে অভিযান চালান। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছরের উন্নয়নকাজ ও বর্তমানে যেসব কাজ চলমান রয়েছে, সেসব কাজের আমরা তথ্য চেয়েছি। এখানে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা দেখতে এখানে এসেছি। এখানে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে, এখানে কাজের ভলিউম বেশি, তাই সেসব কাজের বিষয়ে তথ্য চেয়ে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনে আমরা এই অফিসে আবার আসব।’
বেলা তিনটার দিকে দুদকের দলটি এলজিইডির উপজেলা কার্যালয় ত্যাগ করে। দুদক দলের অভিযান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বন্দর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের প্রকৌশলী শামসুর নাহার প্রথম আলোকে বলেন, দুদকের একটি দল তাঁর কার্যালয়ে এসেছিল। তারা বর্তমান চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কী অবস্থা ও গত পাঁচ বছরের যেসব উন্নয়নকাজ হয়েছে, সেসবের বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজের তথ্য দেওয়া হয়েছে।