ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনাকে খুব বাজে ভাষায় গালি দিয়েছিলেন রাফিনিয়া। তবে ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি জানিয়েছেন, মাফ করে দিয়েছেন রাফিনিয়াকে। তার মতে, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিশ্চয় ওমন কিছুর বলতে চাননি।    

তবে আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা বার্সেলোনা তারকা রাফিনিয়াকে ক্ষমা করেছে বলে মনে হয় না। রদ্রিগো ডি পল, লিয়ান্দ্রো পারদেসরা তো বরং ৪-১ গোলের বড় জয় পাওয়ায় রাফিনিয়ার এক হাত নিয়েছেন। তাদের মতে, ম্যাচের আগে এভাবে অপমানজনক মন্তব্য করা মোটেও সমীচীন নয়। 

রদ্রিগো ডি পল ম্যাচ শেষে বলেন, ‘আমরা এভাবে কখনো কোন প্রতিপক্ষকে অসম্মান করিনি। অথচ গত কয়েক বছরে আমরা বারবার প্রতিপক্ষের দ্বারা অসম্মানিত হয়েছি। কেউ আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। আমরা সবকিছু জিতেছি এবং এখনো সেই ধারা বজায় রেখে ভালো খেলে যাচ্ছি। ছয় বছর ধরে আমরাই বিশ্বের সেরা জাতীয় দল। তাদের বলো, আমাদের যেন সম্মান করে।’ 

পারদেস জানিয়েছেন, তারা ম্যাচের আগে আজেবাজে কথা বলেন না। যা বলার মাঠেই বলেন, ‘ম্যাচের আগে অবশ্যই আপনার অসম্মান করার অধিকার নেই। বিশেষ করে, যদি মাঠে খেলা দেখাতে না পারেন। রাফিনিয়া ওই বাজে মন্তব্য করার পর আমরা তা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করেছিলাম। আমরা সব সময় আমাদের কথা মাঠেই বলি।’    

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র জ ল আর জ ন ট ন ব শ বক প ব ছ ই ম ন কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ