শাকিব খানের ‘বরবাদ’ সিনেমার দৃশ্য কি আসলেই কাটতে হয়েছে
Published: 26th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের দেওয়া পর্যবেক্ষণ মেনে মঙ্গলবার পুনরায় ছাড়পত্রের জন্য জমা পড়ে শাকিব খান অভিনীত ‘বরবাদ’। দুপুরে সিনেমাটি দেখেন চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্যরা। সন্ধ্যায় চলচ্চিত্রটির ছাড়পত্র মেলে। ছাড়পত্র পেলেও ‘কাট’, ‘আনকাট’ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। সার্টিফিকেশন বোর্ডের কর্মকর্তা থেকে সদস্যরা কেউই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সার্টিফিকেশন বোর্ডের একাধিক সদস্য প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বোর্ডের দেওয়া পর্যবেক্ষণ মেনেই গতকাল পুনরায় জমা হয় ‘বরবাদ’, যেখানে কিছু দৃশ্য ছেঁটে ও পরিমার্জন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রথম জমা দেওয়া কপিতে একাধিক কারিগরি ত্রুটি ছিল, গতকালের কপিতে তা সংশোধন করা হয়েছে।
সদস্যরা আরও জানিয়েছেন, পর্যবেক্ষণের বিষয়গুলোর সঙ্গে একমত হয়েই গতকাল সংশোধিত কপি জমা দিয়েছেন ‘বরবাদ’–এর প্রযোজক। তবে এরপরও যা সামনে এসেছে, তা স্ট্যান্টবাজি ছাড়া কিছুই না। সিনেমার হাইপের জন্যই এমন করা হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের এ পর্যবেক্ষণ ‘বরবাদ’–এর জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য নির্মাতা কাজী হায়াত। গতকাল তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো সিনেমার ক্ষতি করতে আমরা বোর্ডে আসিনি। ‘‘বরবাদ” পারিবারিক দর্শকদের উপযোগী হয়েছে। সিনেমার জন্য লাভ হয়েছে।’
শুধু ‘বরবাদ’ নয়, ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘জংলি’ ও ‘দাগি’ সিনেমার ক্ষেত্রেও পর্যবেক্ষণ দিয়েছিল চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড। সেসব পর্যবেক্ষণ মেনেই ছাড়পত্র মিলেছে সিনেমা দুটির।
‘বরবাদ’–এ শাকিব খান। ভিডিও থেকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ড়পত র র জন য বরব দ সদস য গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫