আর্জেন্টিনাসহ কোন কোন দলের বিশ্বকাপ নিশ্চিত, আর কারা পথে আছে
Published: 26th, March 2025 GMT
৪৮ দলের বিশ্বকাপ। স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি খেলবে তিন স্বাগতিক কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র। অন্য ৪৫টি দল বেছে নেওয়া হবে বাছাইপর্ব থেকে। এর মধ্যে অনেকেই বাছাইপর্ব খেলে ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে। যেখানে সর্বশেষ সংযোজন আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের প্রথম দল হিসেবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পেয়েছে। লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার মতো আর কোন কোন দল এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে?কানাডা
তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে খেলবে কানাডা। এবার স্বাগতিক দেশ হওয়ায় সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের পর এটি হতে যাচ্ছে তাদের টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। আলফন্সো ডেভিস, স্টিফেন ইউস্তাকিও এবং জোনাথন ডেভিডের মতো খেলোয়াড়দের নিয়ে কানাডা এবার ঘরের মাঠে গ্রুপ পর্ব পার হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে খেলবে।
মেক্সিকো১৯৭০ ও ১৯৮৬ সালের পর ২০২৬ সালে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করছে মেক্সিকো। মেক্সিকো বিশ্বকাপে নিয়মিত। এটি তাদের ১৮তম বিশ্বকাপ। তবে দেশটি কখনো কোয়ার্টার ফাইনালের ওপরে উঠতে পারেনি, এবার সেটাই করতে চাইবে।
যুক্তরাষ্ট্রমেক্সিকো ও কানাডার মতোই স্বাগতিক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রও ২০২৬ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেয়েছে। এটি হবে তাদের ১২তম বিশ্বকাপ। ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক, ওয়েস্টন ম্যাকেনি এবং টেইলর অ্যাডামসের মতো তারকাদের নিয়ে তারা এবার আরও ভালো পারফর্ম করতে আত্মবিশ্বাসী দলটি।
জাপানগত ২০ মার্চ প্রথম দল হিসেবে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে জাপান। এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে বাহরাইনকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে পূর্ব এশিয়ার দেশটি। তিন স্বাগতিকের বাইরে জাপানই প্রথম দল, যারা বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়। টানা সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে জাপান।
বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিতের পর জাপানের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন ব শ বক প স ব গত ক
এছাড়াও পড়ুন:
সার আমদানি ও জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন
সরকারি পর্যায়ে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সার আমদানি চুক্তি অব্যাহত রাখা এবং চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জি টু জি চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের সাবিক এগ্রো-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সারের আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ইউরিয়া সারের সাপ্লাইচেইনে নিরবচ্ছিন্নভাবে সারের যোগান বজায় রাখতে জি-টু-জি ভিত্তিতে সৌদি আরব থেকে চুক্তির মাধ্যমে ইউরিয়া সার আমদানি করা হচ্ছে। সাবিক-সৌদি আরবের সাথে বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ ৩০/০৬/২০২৫ শেষ হয়। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নিরবচ্ছিন্ন ইউরিয়া সার সরবরাহের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে সর্বমোট ৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। দেশটি থেকে প্রতি লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয় করা হবে।২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশে থেকে মোট ৩০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।
সভায়, চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড নামে মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১৯৬১ সালে ৫৪.৯৯ একর জমির ওপর স্থাপিত হয়।১৯৭২ সালে মিলটি জাতীয়করণ করা হয় এবং পরিচালনার দায়িত্ব বিটিএমসির অধীনে ন্যস্ত হয়।পরবর্তীতে মিলটি বেসরকারি খাতে পরিচালনার দায়িত্ব অর্পন করা হলেও চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে পুনরায় পুনঃগ্রহণ করে বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হয়। চট্টগ্রাম এরিয়ায় বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (বিওএফ) সম্প্রসারণের জন্য বিটিএমসির জলিল টেক্সটাইল মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের অনুরোধ করে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাবাহিনী প্রধান আলোচনা ও মৌখিক সম্মতি গ্রহণ করেন।
‘গত ২৪/১২/২০১৮ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জমি বিক্রয়ের অনুমোদনের প্রস্তাব করা হলে মিলটির অব্যবহৃত জমি বিক্রয় না করে সরকারের উন্নয়নমূলক/জনহিতকর কাজে উক্ত জমি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।’ মিলের জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হলে মিলের জমি সরকারের উন্নয়নমূলক ব্যবহৃত হবে।
এমতাবস্থায়, জলিল টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড এর ৫৪.৯৯ একর জমি মিলের কাছে সরকারি পাওনা বাবদ ১৭ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বিটিএমসিকে প্রদানপূর্বক মিলের জমি প্রতীকী মূল্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বর্ণিত ৫৪.৯৯ একর জমির মৌজা মূল্য প্রায় ১১১ কোটি ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৫ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/এসবি