আগামী সপ্তাহে ঈদুল ফিতর। আজ অফিস-আদালতের কর্মব্যস্ততা শেষে ঈদের লম্বা ছুটি শুরু হচ্ছে। প্রিয়জনদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে ঢাকা ছাড়ছেন লাখ লাখ মানুষ। পথে পথে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনে বাড়ছে যাত্রীদের চাপ।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও জনপথ এলাকায় গিয়ে এসব চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে কথা হয় পটুয়াখালীগামী যাত্রী আরমান হোসেনের সঙ্গে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, “এ বছর ঈদের ছুটি বেশি থাকায় যাত্রীরা সময় নিযে বাড়ি যাচ্ছেন। আমি সরকারি চাকরি করি। বাড়িতে অনেক কাজ আছে। তাই, আগেই চলে যাচ্ছি।”

গণপরিবহনে ঈদ বোনাসের নামে টিকিট প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আরমান হোসেন।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সহকারী ম্যানেজার তোয়াব খান রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, ভোর থেকে যাত্রীদের চাপ মোটামুটি ভালো। আজ অফিস শেষে ঈদের ছুটি শুরু। দুপুর থেকে যাত্রীদের চাপ আরো বাড়বে।

তিনি বলেন, “আমরা অনলাইন ও অফলাইনে টিকিট বিক্রি করছি। গাড়ি কাউন্টারে পৌঁছানোর পরপরই বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। রাস্তা বেশ ফাঁকা। তাই, যাত্রীদেরও ভোগান্তি কম এবার।”

চীন সফরে যাওয়ার আগে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে সড়কের যেসব স্থানে সমস্যা ছিল, তা সংস্কার করা হয়েছে। ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া পেলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়াসহ বাসের রুট পারমিট বাতিল করা হবে।

ঢাকা/এএএম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ