নির্বাচনের পথে: জনগণের ম্যান্ডেট ও কল্যাণ রাষ্ট্রের অভিমুখ
Published: 27th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ আজ এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে। ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান একটি অলিগার্কিক শাসনের পতন ঘটিয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের গভীর কাঠামোগত সংকটগুলোকেও উন্মোচিত করেছে। ছয়টি বিষয়ে গঠিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যে মতামত জমা দিয়েছে। রাজনৈতিক সংলাপ বা সংস্কারপ্রক্রিয়ায় বিভিন্ন দল ও অংশীজনদের মধ্যে একমত এবং ভিন্নমত থাকাটাই স্বাভাবিক। এই ভিন্নমতগুলোকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করেই একটি সর্বসম্মত ন্যূনতম সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়ন করা সম্ভব।
অলিগার্কিক শাসনব্যবস্থা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো জনগণের ম্যান্ডেট। জনগণই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তাদের আস্থা ও সমর্থন ছাড়া কোনো সংস্কারই টেকসই হবে না।
জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা শুধু রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিকভাবেও অপরিহার্য। নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক সংহতি এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার অর্জন সম্ভব। একটি বৈধ ও জনসমর্থিত নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো দেশই স্থবিরতা, প্রাতিষ্ঠানিক অবক্ষয় এবং ক্রমবর্ধমান জন-অসন্তোষের ঝুঁকি থেকে মুক্ত হতে পারে না।
জনগণের ম্যান্ডেট নেওয়ার আগে একটি সর্বসম্মত সংস্কার এজেন্ডা প্রণয়নও জরুরি। এর জন্য বিভিন্ন পক্ষের সমঝোতা দরকার। সমঝোতা মানে হলো মতপার্থক্য বা বিরোধ মেটানোর জন্য বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া। এখানেই ‘ছাড়’ ও ‘সমাধান’-এর জন্য মাথা ও মনের সংমিশ্রণ দরকার। রুটিন কাজের বাইরে বর্তমান প্রশাসনের প্রধান কাজ সঠিক সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান। রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার জন্য একটি বাধ্যতামূলক অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর। এতে নির্বাচন–পরবর্তী সময়ে সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা রোধ সম্ভব।
নির্বাচনের আগে মোটাদাগে ন্যূনতম সংস্কার কর্মসূচির সমঝোতা লাগবে। প্রথমত, ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা, বায়োমেট্রিক ভোটার যাচাইকরণ এবং ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতি দরকার। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে একটি স্বচ্ছ ও বহুদলীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করা জরুরি।
দ্বিতীয়ত, প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক শাসনকাঠামো গড়ে তুলতে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোসহ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন এবং স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন।
তৃতীয়ত, একটি কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো বেশি দরকার। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণও প্রয়োজন। চতুর্থত, সংস্কারের মাধ্যমে বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে স্বাধীন ও জবাবদিহিমূলক করতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়াতে প্রযুক্তির ব্যবহার অভীষ্ট ফলাফল দিতে পারে। ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তথ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করা প্রয়োজন।
এ ছাড়া রাজনৈতিক দলের জনগণের বাছবিচারে নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে যেসব জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকতে পারে, সেগুলো নিয়ে কিছু আলোকপাত করা যাক।
কল্যাণরাষ্ট্রের গোড়াপত্তনকল্যাণরাষ্ট্রের গোড়াপত্তনই ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মর্ম ধারণ করতে পারে। একটি কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের জন্য শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই যথেষ্ট নয়। সর্বজনীন নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার নাগরিক রাষ্ট্রের মৌলিক শর্ত।
প্রথমত, শিক্ষা হতে হবে সর্বজনীন। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা তথা সব স্তরে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতি সময়ের দাবি। বিশেষ করে মেয়েদের এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রত্যেক নাগরিকের জন্য বিনা মূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং সাশ্রয়ী মূল্যে বিশেষায়িত চিকিৎসা নিশ্চিতি সর্বজনীন স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রথম ধাপ।
তৃতীয়ত, বাসস্থান মৌলিক অধিকার। শহর ও গ্রামীণ এলাকায় সাশ্রয়ী মূল্যে সামাজিক আবাসনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। চতুর্থত, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষির আধুনিকায়ন এবং খাদ্য বিতরণব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজনীয়। পঞ্চমত, জীবনচক্রভিত্তিক সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তুলতে মাতৃ, শিশু, যুব বেকার এবং বয়স্ক ভাতা চালু করতে হবে। এই সামাজিক নিরাপত্তায় জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হওয়া জনগোষ্ঠীকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই ভাতাসমূহ প্রত্যেক নাগরিকের জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে মৌলিক চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করে বৈষম্য কমাবে।
উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, শিল্পায়ন ও বৈচিত্র্যকরণবাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে হলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, শিল্পায়ন এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণ অপরিহার্য। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত তৈরি পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভরশীল। নির্ভরশীলতা কমাতে শিল্প খাতের বহুমুখীকরণ ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি জরুরি। এ ছাড়া কৃষি খাতকে আধুনিকায়ন করে খাদ্য উৎপাদন এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে। শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে যথাযথ শ্রম আইন প্রণয়ন এবং তাদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি আশু কর্তব্য।
শিল্পায়নের মাধ্যমেই নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে। যুব বেকারত্ব কমাতে এবং জনমিতিক সুবিধা অর্জনে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর বিকল্প নেই। এতে অভিবাসী আয় বৃদ্ধির নতুন দরজাও খুলে যাবে। সবারই জানা যে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করতে হলে দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশকে সহজ করতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো লাগবে এবং বিদেশি বিনিয়োগ বহুগুণে বাড়াতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের উন্নয়নে বিশেষ প্রণোদনা এবং ঋণসুবিধা প্রদান করলে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের উত্থানবৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বঙ্গোপসাগর গড়ে তোলা সম্ভব। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি বিনিময় বাড়লে এই অঞ্চল বৈশ্বিক অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হবে। সমুদ্র অর্থনীতি, নীল অর্থনীতি এবং জ্বালানি সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ক জোরদার করা সম্ভব। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। আঞ্চলিক যোগাযোগ অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগ করলে বাণিজ্য ও পর্যটন বাড়বে।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের সনাতন বাণিজ্য-সম্পর্কের দেশ বা জোট তথা চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, কোরিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মধ্যপ্রাচ্যে নতুন রপ্তানির বাজার বাড়াতে হবে। নতুন নতুন মুক্তবাণিজ্য অঞ্চল চুক্তির দরকার। তবে এই বাণিজ্য চুক্তিগুলো করার সময় দেশের স্বার্থ এবং শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করতে হবে।
জনগণের হাতেই ভবিষ্যৎযুগে যুগে বাংলাদেশের জনগণই ভবিষ্যৎ নির্ধারণের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছে। প্রতিটি গণ–আন্দোলনই ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এবারও ব্যতিক্রম হবে না। জনগণের ওপর আস্থাই আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্বল। তাদের সিদ্ধান্তে ভুল হয়নি। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কোন দল বা জোটকে নির্বাচিত করবে। একটি ন্যায্য, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে জনগণের ম্যান্ডেট পথের দিশা। কল্যাণরাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে নাগরিকের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি। আর এই বাংলাদেশ হতে পারে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের অগ্রণী দেশ।
● ড.
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জনগণ র ম য ন ড ট ন শ চ ত কর র জন ত ক ব যবস থ র জন য কল য ণ ত করত সরক র দরক র
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এটিএম কামালের দোয়া মাহফিলে মাসুদুজ্জামান
বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দ্রুত রোগমুক্তি কামনায় আজ নারায়ণগঞ্জে গভীর ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক মাসুদুজ্জামান। তিনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা এবং দেশের কল্যাণের জন্য সকলের কাছে দোয়া চান।
দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক, তাঁর সুস্থতা জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল।
দোয়ার আয়োজনে মাসুদুজ্জামান বলেন, “আমাদের জাতীয় নেতৃত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ আজ অসুস্থ। তাঁর দ্রুত আরোগ্যই শুধু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জন্য নয় - বরং বাংলাদেশের গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য অপরিহার্য। জাতির এই সংকটময় মুহূর্তে আমরা সবাই তাঁর জন্য দোয়া করি।
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন। সুস্থতা প্রত্যেক মানুষের মৌলিক আশা এবং আমরা তাঁর আরোগ্যের জন্য আন্তরিকভাবে দোয়া করছি।
তিনি অতীতে দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল, গণতান্ত্রিক চর্চা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার নানা সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন- এই কারণে তাঁর সুস্থতা অনেক মানুষের কাছে মানসিকভাবে এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।”
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আব্দুস সবুর খান সেন্টু, আনোয়ার হোসেন আনু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সদস্য মনোয়ার হোসেন শোখন, সাবেক চেয়ারম্যান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুলসহ মহানগরের অন্যন্য বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দরা।
এছাড়াও দোয়ার আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, মহিলদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।
অনুষ্ঠান শেষে নেতাকর্মী ও উপস্থিত সকল মানুষ দোয়া মাহফিলের মূল উদ্দেশ্যের প্রতি গভীর সংমত প্রকাশ করেন।
তাঁরা বলেন, দেশের একজন বরেণ্য জাতীয় ব্যক্তিত্ব কঠিন অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন - এ সময়ে দল-মত নির্বিশেষে সবাই তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছে। বক্তারা উল্লেখ করেন যে মানবিক মূল্যবোধই সবচেয়ে বড় পরিচয়, এবং অসুস্থতার মতো পরিস্থিতি মানুষের মাঝে সহমর্মিতা ও ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করে।
শেষে সবাই আশা প্রকাশ করেন, দেশনেত্রীর সুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে জাতির মধ্যেও শান্তি, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আরও সুদৃঢ় হবে।
তাঁরা আগত দিনগুলোতে একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, যা সমাজে একটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে।