প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ শুক্রবার চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করছেন। চীনের গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

স্থানীয় সময় আজ সকাল ১০টায় বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক শুরু হয়।

এই বৈঠকের পর মুহাম্মদ ইউনূস স্থানীয় সময় আজ বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে প্রেসিডেনশিয়াল বেইজিংয়ে চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে একটি ‘ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগে’ অংশগ্রহণ করবেন।

চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ সম্পর্কে অবহিত এবং বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা একই স্থানে টেকসই অবকাঠামো ও জ্বালানি বিনিয়োগ, বাংলাদেশ ২.

০ উৎপাদন ও বাজার সুযোগ, সামাজিক ব্যবসা, যুব উদ্যোক্তা, তিন শূন্যের বিশ্ব—এই বিষয়ের ওপর তিনটি গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেবেন।

বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সামাজিক ব্যবসা সার্কেলের অভিজ্ঞ ব্যক্তি, বিখ্যাত চীনা কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

মুহাম্মদ ইউনূস চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সম্মানে আয়োজিত এক নৈশভোজে যোগ দেবেন।

প্রধান উপদেষ্টা এখন চার দিনের চীন সফরে আছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

এন্ড্রু কিশোরের জন্মদিনে কনকচাঁপার আবেগভরা শ্রদ্ধা

বাংলাদেশের সংগীতের ইতিহাসে এক অনন্য নাম এন্ড্রু কিশোর। পেশাদার জীবনে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি গানে—এর মধ্যে অসংখ্য গান আজও কালজয়ী। এ জন্য শ্রোতারা ভালোবেসে তাঁকে ডেকেছেন ‘প্লেব্যাক–সম্রাট’ বলে। চলচ্চিত্রের গানে এন্ড্রু কিশোরের অন্যতম সহশিল্পী ছিলেন জনপ্রিয় গায়িকা কনকচাঁপা। তাঁরা জুটি বেঁধে উপহার দিয়েছেন অগণিত জনপ্রিয় গান। আজ মঙ্গলবার, কিংবদন্তি শিল্পীর জন্মদিনে ফেসবুকে এক আবেগমাখা পোস্টে তাঁকে স্মরণ করেছেন কনকচাঁপা।

কনকচাঁপা লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন, হে তরল সোনা মাখানো কণ্ঠের রাজা এন্ড্রু কিশোর দাদা! আমরা গর্বিত, আমাদের এন্ড্রু কিশোর আছেন! আছেন বলছি, কারণ তিনি এখনো আমাদের জীবনের অংশ—আরও বেশি আপন ও প্রয়োজনীয়।’ ফেসবুক পোস্টে কনকচাঁপা আরও লেখেন, ‘একজন এন্ড্রু কিশোর—একটি কণ্ঠ, একটি গলিত সোনার নদী। সিনেমা হলে তাঁর গান বাজলেই পুরো হল ভরে যেত আবেগে। তাঁর কণ্ঠে ছিল জাদু—যা মানুষকে ভাসাতে, কাঁদাতে, ভালোবাসতে শেখাত। যখন গাইতেন “ডাক দিয়াছে দয়াল আমারে”, তখন মনে হতো—এই পৃথিবীর প্রতি আমাদের অভিমান যেন একসঙ্গে ঝরে পড়ছে। আর যখন গাইতেন “তুমি আমার জীবন”, তখন প্রতিটি মানুষ ভাবত, এভাবেই তো প্রিয়াকে বলতে চেয়েছি আমি!’

এন্ড্রু কিশোর ও কনকচাঁপা

সম্পর্কিত নিবন্ধ