জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) জোবাইরুল হাসান বলেছেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বিএনপিসহ সব পার্টিকে আমরা সহযোদ্ধা হিসেবে পেয়েছে। কিন্তু সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া মানে জুলাইয়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। বাংলাদেশের বড় পার্টিগুলো মনে করছে, এত ভাই শহীদ হয়েছে শুধু একটি নির্বাচনের জন্য। যদি রাজনৈতিক দলগুলোর এ ধরনের অবস্থান হয় তাহলে সংস্কারের যে পজিশন, এ পজিশনকে আমাদের বিপ্লবী পজিশনে রূপান্তর করতে হবে।’

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এ কথাগুলো বলেন জোবাইরুল হাসান। তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশের জনসাধারণকে জনগণ হতে দিচ্ছে না। তারা বারবার মব তৈরি করছে। তারা বলতে চাচ্ছে একধরনের নির্বাচনের কথা।’

এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটি অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ের মধ্যে করতে হবে, কোনো নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষা করব না। সব রাজনৈতিক দলকে বলব আগে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে ঐকমত্য থাকতে। যারা গণ–অভ্যুত্থানে হামলা করেছিল এখন তাদের সাপোর্ট দিচ্ছে কারা, এটি সবাই জানে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। আজ বিকেলে চট্টগ্রামের জিইসি এলাকার একটি রেস্তোরাঁয়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গত বছর ১ আগস্টের সকালে কী ঘটেছিল বাঁধনের সঙ্গে

‘রাত থেকেই মানসিকভাবে আমি অতিরিক্ত চাপে ছিলাম। তবে একধরনের উত্তেজনাও বোধ করছিলাম, যে কারণে হয়তো সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। ভোরে বিছানা থেকে উঠি। স্নিকার্স পায়ে দিই। কারণ, আমি জানতাম না আমার জীবনে আজ কি ঘটতে যাচ্ছে।’ এভাবে গত বছর আগস্টের প্রথম দিনে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরকারের কঠোর দমনপ্রক্রিয়া ও গুলিতে ছাত্র-জনতা হত্যার’ প্রতিবাদে রাজপথে বের হওয়ার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।

সেই পয়লা আগস্টের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বাঁধন ফেসবুকে লেখেন, ‘আমার একমাত্র মেয়ে সেদিন মা-বাবার সঙ্গে ছিল। তারা তিনজনই জানত না আমি কোথায় যাচ্ছি। আমি তাদের এতটুকুই বলেছিলাম, কিছু মিডিয়ার বন্ধু মিলে একটা ইভেন্টে যাচ্ছি। তারপরেই শঙ্কা নিয়ে বাসা থেকে বের হই।’

দৃশ্যমাধ্যমের এই আন্দোলনে বাঁধন

সম্পর্কিত নিবন্ধ