গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য ছাত্রদলের ইফতার
Published: 29th, March 2025 GMT
গণ-অভ্যুত্থানে আহত হয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন আছেন, এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করেছে ছাত্রদল। এ সময় ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা শহীদ পরিবারের পাশাপাশি আহত ব্যক্তিদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এই ইফতারি বিতরণ করা হয়। আজ শনিবার বিকেলে ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক শরীফ প্রধান ইফতারসামগ্রী পৌঁছে দেন। ইফতারি বিতরণ শেষে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা আহতদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন ও সার্বিক খোঁজখবর নেন।
ইফতারি বিতরণ শেষে শরীফ প্রধান বলেন, শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ। তাঁদের এই আত্মত্যাগে ছাত্রদল গর্বিত।
নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে এই নেতা বলেন, ‘আহত ও শহীদদের ত্যাগের কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। সুখে–দুঃখে তাঁদের পাশে থাকতে হবে এবং তাঁদের সব প্রয়োজনে সাড়া দিতে হবে। কেননা, দায়িত্বশীল ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রদল মানবিক, সাম্য ও অগ্রযাত্রার বাংলাদেশ গঠনে সদা জাগ্রত।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে তিনি আরও বলেন, ‘গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার দাবি করছি। খুনি হাসিনা এবং তার দোসররা যাতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ না পায়, সে জন্য সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র ব তরণ ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলা, আহত ৪
সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় অন্তত চারজন আহত হয়েছে। আহতদের এলাকাবাসী উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হসপিটালে নিয়ে যায়। আহতরা হলেন, আব্দুল সোবহান (৬২), আব্দুল আজিজ (৪৫),রবিন (৩৮) ও মুক্তার হোসেন।
সোমবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। উক্ত মারামারির ঘটনায় মুক্তার হোসেন বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ আজিবপুর এলাকার বাসিন্দা বিবাদী আহমাদুল্লাহ (৫০), মোহাম্মাদ হোসেন (৪৫), সফর আলী (৪৫), জাফর হোসেন (৫০) সর্ব পিতা মৃত মমির আলী, সাইফুল ইসলাম (২৬), ফয়সাল হোসেন (২৪) উভয় পিতা মোহাম্মাদ উল্যাহ, রব কাজির ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮), কামাল হোসেন সহ অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ৩০ জন নুর বানু বেগম (৬৫) এর সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং ছাপাখানা মোড়ে ক্রয়কৃত ৫ শতাংশ জমি দখল করতে যায়।
মানুষের মুখে দখলের কথা শুনে নুর বানু বেগমের ছেলে মুক্তার হোসেন উক্ত জমির সামনে গেলে উক্ত বিবাদীরা মুক্তার কে দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। মুক্তার হোসেন গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে উক্ত বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র এসএসের পাইপ দিয়ে মুক্তারকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে।
মুক্তার কে মারধর করছে এমন খবর পেয়ে মুক্তারের চাচাতো ভাইরা ঘটনাস্থলে আসলে তাদেরকেও মারধর করে গুরুতর আহত করে উক্ত বিবাদী গং। তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় বাদীদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যান।
এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হসপিটালে নিয়ে যান। চিকিৎসা শেষে মুক্তার হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এসে বিবাদীদের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদী মুক্তার হোসেন জানান, আমার মা নুর বানু বেগম সিদ্ধিরগঞ্জ ছাপাখানা মোড়ে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।আমার মায়ের নামে নামজারি খাজনা সহ যাবতীয় কাগজপত্র রয়েছে। উক্ত বিবাদী গং দীর্ঘদিন যাবত এই জায়গাটি দখল করার পায়তারা করছে।
বিবাদীরা সোমবারে বিকালে আমার মায়ের জমি দখল করতে আসলে আমরা বাধা প্রদান করি। এক পর্যায়ে বিবাদীরা দেশী অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপরে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছি। আমি উক্ত বিবাদীগণের কঠিন শাস্তি কামনা করছি প্রশাসনের কাছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (উপ- পরিদর্শক) এসআই সালেকুজ্জামান বলেন, মারামারির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।