পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতজুড়েই আজ সোমবার উদ্‌যাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। প্রতিবছর প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে কলকাতার ধর্মতলার রেড রোডে। এবারও সেই রেড রোডে আয়োজন করা হয়েছে এই জামাতের। আজ বৃষ্টিহীন কলকাতায় আবহাওয়াও কিছুটা ঠান্ডা। এই পরিবেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মনের আনন্দে ঈদের খুশিতে নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা শুভেচ্ছা বিনিময়, কোলাকুলি করেছেন যথারীতি একে অপরের সঙ্গে। সেই সঙ্গে দেশের উন্নয়ন ও সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ সকালে কলকাতার রেড রোডের ঈদের জামাতে উপস্থিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন মুসল্লিদের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীরা।

মমতা তাঁর শুভেচ্ছা ভাষণে বলেন, ‘সকলে শান্তিতে থাকুন। ধর্মের নামে এখানে কাউকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘সব ধর্ম রক্ষা করার জন্য আমি জীবন দিতেও প্রস্তুত।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘ধর্মের ব্যবসা করে এখানকার একটি রাজনৈতিক দল। প্ররোচনা দেয়। দাঙ্গার ওই সব প্ররোচনায় পা দেবেন না। আজ লাল-গেরুয়া এক হয়ে গেছে। আমরা সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চাইলে মনে করবেন এই দিদি আপনাদের পাশে আছেন।’

কলকাতার রেড রোডের ঈদের জামাতের পর সেখানে উপস্থিত হয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কলক ত র

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ