লক্ষ্মীপুরে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা, ২ জন আটক
Published: 31st, March 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে চোর সন্দেহে পিটুনিতে শ্রমিক দল নেতা নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে লক্ষ্মীপুর উপজেলার সবুজের গোঁজা এলাকায় তাঁকে পিটুনি দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম রাজু হোসেন (২৮)। তিনি উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সবুজের গোঁজা নামে এলাকায় রোববার গভীর রাতে কবির হোসেনের বাড়িতে রাজু হোসেন প্রবেশ করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে অটোরিকশা চোর সন্দেহে রাজুকে পিটুনি দেওয়া হয়। রাতভর কয়েক দফায় তাঁকে পিটুনি দেন স্থানীয় লোকজন। একপর্যায়ে রাজু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সোমবার সকালে তিনি মারা যান।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ কবির হোসেন ও রেখা বেগম নামে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। চররুহিতা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, চররুহিতার ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন রাজু হোসেন। গতকাল রাতের অন্ধকারে কবির হোসেন নামে এক ব্যক্তির অটোরিকশা চুরির অপবাদ দিয়ে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল